পুজোর মরশুমকে সামনে রেখে আসানসোল পুরনিগমের বিশেষ প্রস্তুতি, পুকুর পরিষ্কার থেকে আলো লাগানোর বিশেষ ব্যবস্থা
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ আসানসোলের জিটি রোডের তালপুকুরিয়া এলাকায় একটি পুকুর রয়েছে। সেই পুকুরে বহুদিন ধরেই বিভিন্ন পূজা কমিটি প্রতিমা বিসর্জন করে আসছে। কিন্তু সম্প্রতি এই পুকুরের অবস্থা এতটাই খারাপ হয়েছে যে গণেশ পূজোর আয়োজকরা পুকুরে প্রতিমা বিসর্জন করতে গিয়ে দেখেন, পুকুর নোংরা, আবর্জনা ও পানায় ভরে গেছে। তা দেখে বিসর্জন না করেই পুজোর আয়োজকরা ফিরে যান। এই প্রসঙ্গে স্থানীয় কয়েকজন জানান, আগে এই পুকুরে নিয়মিত বলতে গেলে সব পুজোর প্রতিমা বিসর্জন করা হতো। কিন্তু এখন পুকুরের ময়লা দেখে পূজোর আয়োজকরা আর এখানে প্রতিমা বিসর্জন করতে চান না।




এ বিষয়ে মেয়র বিধান উপাধ্যায় বলেন, শহরকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে আসানসোল পুরনিগম নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। পুরনিগমের স্যানিটেশন বা সাফাই বিভাগের কর্মীরা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন এলাকায় পুকুর পরিষ্কার করেন। তবে সাধারণ মানুষকেও এই বিষয়ে সচেতন হতে হবে। তিনি পুকুরে ময়লা না ফেলার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানান। মেয়র আরো বলেন, শহর পরিচ্ছন্ন রাখতে পুরনিগমের তরফে সাধারণ মানুষদেরকে প্রতিনিয়ত সচেতন করা হচ্ছে।
এই প্রসঙ্গে মেয়র পারিষদ গুরুদাস ওরফে রকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, এদিন আসানসোল পুরনিগমের মেয়র পারিষদের বৈঠক ছিলো। সেই বৈঠকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আসন্ন উৎসবের মরসুমকে সামনে রেখে শহরকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে আসানসোল পুরনিগম বিশেষ প্রস্তুতি নিচ্ছে। যেসব জায়গায় আলোর প্রয়োজন আছে, সেখানে আলোর ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। এই বছর পঞ্জিকা অনুযায়ী দেবীর আগমন হবে ভোর তিনটের সময়। তাই ভক্তদের যাতে কোনো সমস্যায় পড়তে না হয় তারজন্য পুকুরঘাটের কাছে যথাযথ আলোর ব্যবস্থা করা হবে।
তালপুকুরিয়াতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভাবে গণেশ প্রতিমা বিসর্জন না হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ঐ পূজোর আয়োজকরা কোথায় বিসর্জন করবেন তা আগাম আসানসোল পুরনিগমকে জানায়নি, তাই ঐ পুকুর পরিষ্কার করা যায়নি।
তিনি বলেন, যে সমস্ত পুকুরে গণেশ প্রতিমা বিসর্জন হবে বলে জানা গেছিল সেই সমস্ত পুকুর পরিষ্কার করেছে পুরনিগম। এছাড়াও দূর্গাপুজো সহ অন্য সব পুজোকে সামনে সব পুকুর পরিষ্কার ও সাফাই করা হবে।