আসানসোলে সরকারি গার্লস হোস্টেলে আবাসিকের দগ্ধ দেহ উদ্ধার, তদন্তে পুলিশ
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত : আরজি করের ঘটনার আবহের মধ্যে আসানসোল শহরে সরকারি একটি গার্লস হোস্টেল থেকে এক মহিলা আবাসিকের দগ্ধ দেহ উদ্ধার হলো। বুধবার সন্ধ্যে সাড়ে সাতটার সময় এই ঘটনায় আসানসোল দক্ষিণ থানার এসবি গরাই রোডে আসানসোল পুরনিগমের ৪ নম্বর বোরো কাছে সুকান্ত ময়দান সংলগ্ন গার্লস হোস্টেল থেকে মহিলা আবাসিকের দগ্ধ দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।




খবর পেয়ে এলাকায় ছুটে আসেন ৪ নং বোরো চেয়ারম্যান রাজেশ তেওয়ারি। এরপরে পুলিশ বাহিনী নিয়ে হোস্টেলে আসেন আসানসোল দক্ষিণ থানার ইন্সপেক্টর ইনচার্জ কৌশিক কুন্ডু। পরে আসেন আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশের ডিসিপি (সেন্ট্রাল) ধ্রুব দাস সহ উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা। রাত আটটা নাগাদ পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়।
জানা গেছে, বেশ কয়েক বছর আগে আসানসোল পুরনিগম সুকান্ত ময়দান লাগোয়া এই গার্লস হোস্টেলটি তৈরি করেছিলো। প্রথম দিকে এই হোস্টেল অনেক মহিলা আবাসিক থাকতেন। বর্তমানে এই হোস্টেলে তিনজন থাকেন বলে জানা গেছে।
এই গার্লস হোস্টেলে থাকা আইসিডিএস কর্মী ঝর্ণা দেবী বলেন , আমি একই গার্লস হোস্টেলে থাকি। যে মহিলা দগ্ধ হয়েছেন, তিনি আসানসোল একটি প্রাইভেট কলেজে কাজ করতেন। ১০/১২ পরে ঐ মহিলা এদিন হোস্টেলে আসেন। দুপুরে ফিরে আমি তাকে দেখি। তারপর আমি নিজের ঘরে চলে যাই। পরে এই ঘটনা ঘটেছে জানতে পারি।
ঘটনার খবর ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রাথমিক তদন্তের পরে আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসিপি ( সেন্ট্রাল) ধ্রুব দাস বলেন , অগ্নিদগ্ধ হয়ে একটি মহিলার মৃত্যু হয়েছে। এলাকার বাসিন্দারা হোস্টেলের ভেতর থেকে একটা আওয়াজ পান সন্ধ্যে নাগাদ। তারপর মহিলা আবাসিকের দগ্ধ দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা ঘটনাস্থলে আসছেন। তাদের ডেকে পাঠানো হয়েছে। তারা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করে দেখবেন। তবেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। তিনি বলেন, বর্তমানে একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা করা হয়েছে। এখনো মহিলার পরিচয় পাওয়া যায়নি। তিনি কোথায় থাকেন, তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। বাড়ির লোকেদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।
৪ নম্বর বোরো চেয়ারম্যান রাজেশ তেওয়ারি বলেন, আমি সন্ধ্যায় অফিসের কাজ শেষ করে ফিরছিলাম। সেই সময় আমাকে ফোন করে বলা হয় যে পাশের গার্লস হোস্টেল থেকে একটি আওয়াজ শুনতে পাওয়া গেছে। এরপর আমি ফোন করি আসানসোল দক্ষিণ থানার ইন্সপেক্টর ইনচার্জকে। রাজেশ তিওয়ারিও জানিয়েছেন, আগুন লাগার কারণ এখনও জানা যায়নি। তবে পুলিশ তদন্ত করছে। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞের তদন্তে আসল কারণ জানা যাবে বলে আমি মনে হয়।