আসানসোলের বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন, ব্যহত জনজীবন
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ রাতভোর টানা ভারী বৃষ্টি। যে কারণে আবারও জলমগ্ন হলো আসানসোল শহরের বিস্তীর্ণ এলাকা। শহরের সব নিচু এলাকা বলতে গেলে জলের তলায় চলে যায়। কোথাও কোথাও কোমরের উপরে জল জমে যায়। অনেক জায়গায় বাড়ি ও দোকানের ভেতরে জল চলে যায়। বলতে টানা বৃষ্টিতে আসানসোলের স্বাভাবিক জনজীবন ব্যহত হয়।




শুক্রবার রাত এগারোটার পরে আসানসোলে তুমুল বৃষ্টি শুরু হয়। তার সঙ্গে চলে দমকা হাওয়া। শনিবার সকালের দিকে সেই বৃষ্টি কিছুক্ষণের জন্য থামে। তারপর শনিবার সকাল দশটার পরে আবারও বৃষ্টি নামে। সেই বৃষ্টি টানা দুঘন্টারও বেশি সময় ধরে চলে। এই বৃষ্টিতে আসানসোল স্টেশনের যাওয়ার রেলের দুমুখো পুলে জল জমে যায়।
আসানসোলের ১৯ নং জাতীয় সড়ক সহ বিস্তীর্ণ এলাকা সবকিছুই জলের তলায় চলে যায়। বিভিন্ন জায়গায় রাস্তায় রাস্তায় জল জমে যাওয়ায় গাড়ি চলাচল ব্যহত হয়ে পড়ে। বৃষ্টির জল জমে বেহাল হয়ে পড়ে আসানসোলের স্টেশন রোডের ১৩ নং মোড়, হটন রোডের আর্য সরণী মোড় সংলগ্ন এলাকা কল্যানপুর ও রেলপারের নিচু এলাকা। এইসব এলাকা জলের তলায় চলে যাওয়ায় বেশ কিছু বাড়িতেও জল ঢোকে। একই সাথে আসানসোল শহরে থেকে ডিপুপাড়া ও ধাদকা যাওয়ার রেল ওভার ব্রিজের নিচে জল জমে যাওয়ায় বিপাকে পড়েন পথ চলতি সাধারণ মানুষ, বেশ কয়েক ঘন্টা ধরে সাধারণ মানুষেরা। তাদের যাতায়াত করতে সমস্যা হয়। এইসব এলাকায় খবর পেয়ে পুলিশ পৌঁছায়। পুলিশ এলাকায় থেকে পরিস্থিতি সামাল দেয়। তবে, কয়েক ঘন্টার বৃষ্টিতে আসানসোল শহরের বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যে বেশ কিছু প্রশ্ন উঠছে।
তারা বলেন, আসানসোল শহরের সৌন্দর্যায়নের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। কিন্তু নিকাশি ব্যবস্থা, সাফাই ও বেআইনি জবরদখল নিয়ে আসানসোল পুরনিগমের কোন স্থায়ী পরিকল্পনা ও ভাবনা নেই। যে কারণে একটু বৃষ্টি হলেই, জলমগ্ন হয়ে পড়ছে নিচু এলাকা। জলের তলায় চলে যাচ্ছে ব্রিজ। এদিকে, আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, শনিবার ও রবিবার এই বৃষ্টি চলবে। সোমবার সকালের দিকে আবহাওয়ার উন্নতি হতে পারে।