শ্যাম সেল এন্ড পাওয়ার লিমিটেড কারখানার শ্রমিক মৃত্যুকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য
বেঙ্গল মিরর, চরণ মুখার্জী, জামুড়িয়া : জামুরিয়ার বিজয়নগর শিল্পতালুকের শ্যাম সেল এন্ড পাওয়ার লিমিটেড নামক এক লৌহ ইস্পাত কারখানার শ্রমিক মৃত্যুর ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ালো এলাকায়। ঘটনা প্রসঙ্গে জানা যায় রবিবার সকাল সাড়ে নটা নাগাদ জামুড়িয়ার পাথর চুরের বাসিন্দা বছর বাইশের সারথী মন্ডল কে কোন এক অভিযোগে কেন্দা ফাঁড়ি নিয়ে যায়, কারখানার বেশ কয়েকজন নিরাপত্তা রক্ষী, অভিযোগ সে সময় ওই যুবক কে নিয়ে যাওয়ার পথেই ওই যুবকের রহস্যময় ভাবে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।




এই ঘটনার খবর মৃতের পরিজন ও এলাকার বাসিন্দারা পাওয়ার পর পরই সকলেই এই ঘটনার দায় নিরাপত্তা রক্ষীদের ওপর চাপিয়ে নিরাপত্তা রক্ষীদের বিরুদ্ধে আইন মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ এর দাবী জানান। এর পাশাপাশি তারা মৃত ওই যুবকের পরিবার-পরিজনেদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ ও পোষ্যর চাকরীর দাবিতে কারখানা গেটে সকাল ১১টা থেকে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। এই ঘটনার খবর পাওয়ার পর পরই ঘটনাস্থলে কেন্দা ফাঁড়ির পুলিশ, ও জামুরিয়া থানা পুলিশের সাথেই পুলিশের বিশেষ কমবেট ফোর্স , রেপিড একশন ফোর্স কে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হন ওসি,আইসির সাথেই এসিপি সেন্ট্রাল টু বিমান কুমার মিধা।
পরে এই ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দিতে ময়দানে নেমে পড়েন জামুড়িয়ার বিধায়ক হরে রাম সিং, তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সিদ্ধার্থ রানা, শ্যামলা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অসিত মন্ডল, হিজলগড়া পঞ্চায়েত উপপ্রধান শেখ জোজো, সহ অসংখ্য তৃণমূল নেতাকর্মী। এদিন দুপুরে তারা কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করে এই ঘটনায় যারা প্রকৃত দোষী তাদের শাস্তির দাবি জানান পাশাপাশি ক্ষতিপূরণ নিয়ে সরব হন। এই ঘটনাকে ঘিরে কারখানার গেটে ও কারখানা চত্বরে বারংবার উত্তেজনাময় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। সমস্ত বিষয়টি শান্তিপূর্ণভাবে সমাধানের জন্য পুলিশ প্রশাসন বিশেষভাবে উদ্যোগ নিয়েছে।
এরপর দীর্ঘ এক ঘন্টা বৈঠক করার পর বিধায়ক এলাকাবাসীদের কাছে সংবাদ মাধ্যমের সামনে জানান আলোচনা করে তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কারখানা কর্তৃপক্ষের তরফে মৃতের ক্ষতিপূরণ বাবদ আট লক্ষ টাকা ও তাদের তহবিল থেকে ১ লক্ষ টাকা প্রদান করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, এর পাশাপাশি কারখানা কর্তৃপক্ষের তরফে প্রতিমাসে মৃত ওই শ্রমিকের পরিবারের বাবা মাকে 10 হাজার টাকা করে দেওয়া হবে বলে জানান, একই সাথেই পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে যাতে ওই মৃত ব্যক্তির পরিবারবর্গকে ইন্সুরেন্সের প্রাপ্য ২০-২৫ লক্ষ টাকা দেওয়া যায় সে বিষয়ে প্রশাসন ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলেই জানান বিধায়ক হরে রাম সিং। এরপরও যেকোনো রূপ উত্তেজনাময় পরিস্থিতি রোখার লক্ষ্যে কারখানার চারিপাথের পুলিশ প্রশাসনের বিশাল ব্যারিকেট লক্ষ্য করা যায়।