তিহার থেকে বেরিয়ে অনুব্রত মণ্ডল পৌঁছলেন বীরভূমে
বেঙ্গল মিরর, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত : দেড় বছর পর তিহার জেল থেকে মুক্তি পেলেন অনুব্রত মণ্ডল। শুক্রবার দিল্লির রাউজ অ্যাভিনিউ আদালত তাকে জামিন দেয়। কিন্তু আইনি কাগজপত্র দাখিল না করায় জেল থেকে তার মুক্তি সম্ভব হয়নি। সম্প্রতি ইডি-র দায়ের করা গরু পাচার মামলায় অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মণ্ডল জামিন পেয়েছেন। জামিন পাওয়ার পর তিনি দিল্লিতেই থাকেন। সোমবার রাতে তিহার জেলের তিন নম্বর গেট থেকে বেরিয়ে আসেন অনুব্রত মন্ডল। তার পরনে ছিল হলুদ-বাদামী রঙের টি-শার্ট। বাবাকে জেল থেকে আনতে মেয়ে সুকন্যাও দিল্লী যায়।
![](https://bengalmirrorthinkpositive.com/wp-content/uploads/2024/05/img-20240520-wa01481045365085360283686-500x428.jpg)
![](https://bengalmirrorthinkpositive.com/wp-content/uploads/2024/09/img-20240909-wa00806721733580827251668.jpg)
![](https://bengalmirrorthinkpositive.com/wp-content/uploads/2024/12/fb_img_17339279922403722767543487143310-476x500.jpg)
![](https://bengalmirrorthinkpositive.com/wp-content/uploads/2024/09/img-20240924-wa00001073539909724421131-500x281.jpg)
১১ অগাস্ট ২০২২-এ বোলপুরে তাঁর বাড়ি থেকে সিবিআই তাকে গ্রেপ্তার করে।সেই থেকে জেলে ছিলেন প্রাক্তন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত।
অনুব্রত মণ্ডলকে গরু পাচারের মামলায় বীরভূমের নিচুপট্টি এলাকার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। প্রাথমিকভাবে তাকে আসানসোল সংশোধনাগারে রাখা হয়। পরে কেষ্ট মন্ডলকে নিয়ে যাওয়া হয় তিহার জেলে। তিনি ২১ মার্চ ২০২৩ সাল থেকে তিহারে বন্দী ছিলেন। একই বছরের নভেম্বরে একই মামলায় তাকে গ্রেফতার করে ইডি। প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে ওই মামলায় তাঁর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলকে গ্রেফতার করে ইডি। এরপর দিল্লির তিহার জেলে বন্দি ছিলেন বাবা ও মেয়ে।
এর আগে জামিনের জন্য একাধিকবার আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন অনুব্রত। তার আইনজীবী বারবার সওয়াল করে বলেন যে তার মক্কেলকে আটক করা হচ্ছে, অন্যদিকে গরু চোরাচালান মামলার অন্য আসামিরা খালাস পেয়েছেন। অনুব্রতর জামিনের বারবার বিরোধিতা করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, এ মামলার প্রধান আসামি অনুব্রত। জামিন পেলে তিনি প্রমাণ নষ্ট করতে পারেন।’ এমন যুক্তিতে একাধিকবার অনুব্রতর জামিন নামঞ্জুর হয়েছে। অবশেষে, সিবিআই এবং ইডি উভয় ক্ষেত্রেই জামিন পান কেষ্ট মন্ডল।