RANIGANJ-JAMURIA

রানীগঞ্জ ৬১ শতাংশ কাজ করেও সেরা হলো না আফসোস বিধায়কের

বেঙ্গল মিরর, চরণ মুখার্জী, রানীগঞ্জ :  জেলার মধ্যে কাজের নিরিখে সেরা বিধানসভা হওয়ার সুযোগ না পেয়ে, আফসোস রানীগঞ্জের বিধায়ক তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তার হতাশা একটাই, ৬১% কাজ করেও তা কাজের তালিকা প্রকাশ পেল না। অথচ একান্ন শতাংশ কাজ করে, সেরা কাজের শিরোপা পেল পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভা।গত কয়েকদিন আগেই পশ্চিম বর্ধমান এসে কাজের নিরিখে শীর্ষ তালিকা লক্ষ্য করে, পাণ্ডবেশ্বরে কে ৫১ শতাংশ কাজ, বিধায়ক তহবিলে করা হয়েছে বলেই বাহবা দেওয়া হয়। আর সে বিষয়ের পর, এবার রাণীগঞ্জের বিধায়ক তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করলেন, সব থেকে বেশি কাজ করা হয়েছে রানীগঞ্জ বিধানসভা এলাকায়, তারপর রানীগঞ্জ কে কোন এক অজ্ঞাত কারণে পেছনে রেখে দেওয়া হয়েছে। যা নিয়ে বৃহস্পতিবার রানীগঞ্জের বিধায়ক তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় রীতিমতো এক সাংবাদিক বৈঠক করে, নিজের দপ্তরে তার প্রতি যে একটা বঞ্চনা হয়েছে, সে কথা নানান আকার ইঙ্গিতে তিনি বুঝিয়ে দিলেন।

তিনি তার বক্তব্যে দাবি করেন যে, তার তহবিলে ২০২৩ চব্বিশ সালে প্রায় এক কোটি তিন লক্ষ টাকার কাজ হয়েছে, রানীগঞ্জ বিধানসভা এলাকার বিভিন্ন অংশে, যা অন্য সকল বিধানসভা এলাকাকে পিছনে ফেলে, প্রায় একষট্টি শতাংশের মতো কাজ হয়ে গিয়েছে, তারপরও কিভাবে অন্য সকল বিধানসভা থেকে রানীগঞ্জ কে পেছনে ফেলে, মাত্র ত্রিশ শতাংশ কাজের উল্লেখ রানিগঞ্জে করা হয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।

উল্লেখ্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুর্গাপুরে প্রশাসনিক বৈঠকে হাজির হয়ে জেলার কাজের বিভিন্ন হাল হকিকত খতিয়ে দেখেন, সেখানে দেখা যায় সকল কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে, প্রথম স্থান দখল করে নিয়েছে পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভা, যারা এবার একান্ন শতাংশ কাজ করেছে জেলার মধ্যে, সেখানে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বারাবনি বিধানসভা, তার কাজের পরিমাণ 49 শতাংশ।

যথাক্রমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে জামুরিয়া বিধানসভা, সেই বিধানসভায় কাজ হয়েছে চল্লিশ শতাংশ। পরবর্তীতে দুর্গাপুর বিধানসভায় ৩৭ শতাংশ কাজ করা হয়েছে বলে দেখা গেছে। একইভাবে আসানসোল দক্ষিণের ৩৪ শতাংশ, দুর্গাপুর পশ্চিমে কুড়ি শতাংশ, আসানসোল উত্তরে ২৬ শতাংশ, কুলটিতে ২৯ শতাংশ কাজ হয়েছে বলে দেখানো হয়। আর সেখানেই রানীগঞ্জে ৩০ শতাংশ কাজ দেখানো হয়েছে। আর এখানেই আফসোস করছেন বিধায়ক তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়। দু দফায় আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও প্রায় ১৮ বছর ধরে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে নানান ভাবে যুক্ত থাকা বিধায়ক এখন প্রশ্ন করছেন, কি কারনে, কি উদ্দেশ্য নিয়ে, তার এলাকার কাজকর্ম সঠিকভাবে তুলে ধরা হলো না, তা নিয়ে তিনি চিন্তিত। তবে এত সকল অভিযোগ অনুযোগ তিনি তুললেও, কোন ব্যক্তি বিশেষের বিরুদ্ধে, বা কোন সরকারি আধিকারিকের বিরুদ্ধে তিনি কোন দোষারোপ কিন্তু এদিন করেননি। তবে তার বিরুদ্ধে এ সকল কি চক্রান্ত হয়েছে ? তা নিয়ে তিনি প্রকারন্তরে প্রশ্ন তুললেন, যা তার সাংবাদিক বৈঠকেই অনেকটা স্পষ্ট হয়েছে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *