Bihar-Up-Jharkhand

নিজের মতো পোস্টিং দিতে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ, সিবিআইয়ের হাতে পাকড়াও ইসিএলের ম্যানেজার ও ক্লার্ক

বেঙ্গল মিরর, মুগমা ও ধানবাদ, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও দেব ভট্টাচার্যঃ* পোস্টিং মতো পদ দিতে কর্মীর কাছ থেকেই ২০ হাজার টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ। আর সেই ঘুষ নিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা এজেন্সি সিবিআইয়ের পাতা ফাঁদে ধরা পড়লো ইসিএলের একটি কোলিয়ারির ম্যানেজার ও তার অধীনে কর্মরত ক্লার্ক। শুক্রবার রাতে সিবিআই এই দুজনকে হাতেনাতে পাকড়াও করে। দীর্ঘ জেরার পরে শনিবার বিকেলে তাদেরকে গ্রেফতার করে সিবিআই। ধৃতরা হলো কোলিয়ারি ম্যানেজার প্রবীণ কুমার মিশ্র ও ক্লার্ক গৌর রাবানি। শনিবার বিকেলে দুজনকে ঝাড়খণ্ডের ধানবাদে সিবিআই আদালতে পেশ করা হয়। সিবিআইয়ের আবেদনের ভিত্তিতে বিচারক তাদের জামিন নাকচ করে চারদিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেন। ধৃত দুজনেই ইসিএলের মুগমা এরিয়ার শ্যামপুর বি কোলিয়ারিতে কর্মরত ছিলেন।

गौ तस्करी CBI चार्जशीट


জানা গেছে, ইসিএলের মুগমা এরিয়ায় হরিয়াজাম কোলিয়ারিতে কাজ করতেন মহঃ সেলিম নামে এক ব্যক্তি। চলতি সেপ্টেম্বর মাসে তাকে মুগমা এরিয়ার শ্যামপুর বি কোলিয়ারিতে পদে বদলি করা হয়। সেই মতো গত ১১ সেপ্টেম্বর মহঃ সেলিম শ্যামপুর বি কোলিয়ারিতে আসেন। নিয়ম মতো তিনি কোলিয়ারির ম্যানেজার প্রবীণ কুমার মিশ্রের সঙ্গে  দেখা করেন। কিন্তু, অভিযোগ পোস্টিং মতো তাকে ঐ পদে যোগদান করাতে ম্যানেজার ৫০ হাজার টাকা চান। ম্যানেজারের সঙ্গে ছিলেন তার ক্লার্ক গৌর রাবানি। মহঃ সেলিম ম্যানেজারকে বলেন, তার পক্ষে এতো টাকা দেওয়া সম্ভব নয়। ম্যানেজার তখন তাকে বলেন, ঐ টাকা না পেলে তাকে নির্দিষ্ট পদ দেওয়া যাবেনা। টাকা নিয়ে দর কষাকষি শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত ৫০ হাজার কমে ২০ হাজার টাকায় রফা হয়। এরইমধ্যে মহঃ সেলিম সিবিআইয়ের এ্যান্টি করাপশন ব্রাঞ্চের কথা জানতে পারেন। সেখানকার আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তিনি গোটা বিষয়টি বলেন। এরপর সিবিআই ফাঁদ পাতে। গোটা বিষয়টি মহঃ সেলিমকে বলা হয়। তাকে রফা হওয়া টাকা দেওয়ার জন্য ম্যানেজারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়। সেইমতো সে কোলিয়ারির ম্যানেজারের সঙ্গে যোগাযোগ করে টাকা দেওয়ার কথা বলেন। ম্যানেজার তাকে ঐ টাকা অফিসের ক্লার্ককে দিতে বলেন। ঠিক হয় শুক্রবার রাতে সে টাকা দেবে।


এবার পরিকল্পনা মতো সিবিআই মহঃ সেলিমের গলায় বিশেষ ধরনের একটা চিপ ঝুলিয়ে দেওয়া হয় । যাতে তাকে ট্র্যাক করা যায় বা লোকেশন বুঝতে পারা যায়।  যে টাকা সে ঘুষ হিসেবে দেবে তাতেও, বিশেষ ধরনের কেমিক্যাল লাগিয়ে দেয় সিবিআই। শুক্রবার রাতে নির্দিষ্ট সময় মতো মহঃ সেলিম ক্লার্ক গৌর রাবানির কাছে ঐ টাকা নিয়ে যায়। সেই টাকা ক্লার্ক মহঃ সেলিমের সঙ্গে যখন ম্যানেজারের বাড়িতে গিয়ে দিচ্ছিলো সেই সময় সিবিআই  পিছু নিয়ে হাতেনাতে দুজনকে পাকড়াও করে। রাতেই দুজনকে কোলিয়ারি গেস্ট হাউসে আনা হয়। দীর্ঘ জেরার পরে দুজন কোন সদুত্তর দিতে না পারায় তাদেরকে শনিবার বিকেলে গ্রেফতার করা হয়।
সিবিআই সূত্রে জানা গেছে, মহঃ সেলিমের নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ঘুষ নেওয়ার কারণে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদেরকে আরো জেরা করার জন্য ৪ দিনের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *