দুটি সার্ভিস রাইফেল সহ পুলিশের গাড়ি ছিনতাই , উদ্ধার আসানসোলে
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত: প্রকাশ্য দিবালোকে ১৯ নং জাতীয় সড়ক থেকে দুটি সার্ভিস রাইফেল পুলিশের গাড়ি ছিনতাই করলো দূষ্কৃতিরা ! সেই ঘটনার কয়েক ঘন্টার মধ্যে আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের কাঁকসা থানার সেই গাড়ি উদ্ধার হলো আসানসোল শহরে। উদ্ধার হওয়া গাড়ি থেকে মিলেছে পুলিশের দুটি সার্ভিস রাইফেলও। গাড়িটিকে পরে আসানসোল দক্ষিণ থানায় নিয়ে আসা হয়। পরে সেটিকে কাঁকসা থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হবে।
সোমবারের এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট এলাকায়। আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের কর্মী মহলে এই ঘটনাকে নিয়ে শোরগোল পড়েছে। কাঁকসা থানার টহল দেওয়া ঐ গাড়িতে যে পুলিশ কর্মীরা ডিউটিরত অবস্থায় ছিলেন, তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করা হয়েছে বলে পুলিশ কমিশনারেট সূত্রে জানা গেছে। তবে, কি কারণে ছিনতাইকারীরা কেন গাড়িটি আসানসোল শহরে জিটি রোডের আসানসোল বাজার লাগোয়া হটন রোড মোড় সংলগ্ন এলাকায় ছেড়ে রেখে বেপাত্তা হয়ে গেলো, তা নিয়ে একটা ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।
এই ব্যাপারে পুলিশের দুটো সূত্র থেকে দুরকম মন্তব্য পাওয়া গেছে। একটি সূত্র বলেছে, পুলিশ গাড়িটি যান্ত্রিক ত্রুটির কারনে সেটি বিকল হয়ে যায়। তাই আর কিছু করার না থাকায় ছিনতাইকারীরা গাড়িটি ছেড়ে পালায়। অন্য এক পক্ষের দাবি, গাড়ি ছিনতাই হওয়ার খবরটি কাঁকসা থানা থেকে সব থানায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছিলো। সেই মতো গাড়ির খোঁজে বিভিন্ন থানা এলাকায় নাকা চেকিং শুরু হয়েছিলো। আসানসোল শহরের জিটি রোডের হটন রোড মোড় সংলগ্ন এলাকায় আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ নাকা চেকিং করছিলো। মনে করা হচ্ছে, ছিনতাইকারীরা কোনভাবে আসানসোল শহরে ঢুকে পড়েছিলো। কিন্তু হটন রোড মোড়ে যে পুলিশ চেকিং করছে, তা গাড়িতে থাকা ছিনতাইকারীরা বুঝতে পারে। তারা সেখানে গেলে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যাবে। এই আশঙ্কায় তারা হটন রোড মোড়ের কিছুটা আগে গাড়িটি দাঁড় করিয়ে, বাজারের ভিড়ে মিশে যায়। পরে পুলিশ গাড়িটির কথা জানতে পারে।
পুলিশ গাড়ি উদ্ধারের পরে দূষ্কৃতিদের খোঁজে বিভিন্ন এলাকায় সিসিটিভির ফুটেজ পরীক্ষা করে দেখছে। এই ব্যাপারে দূর্গাপুরের পুলিশ আধিকারিকরা মুখে কুলুপ এঁটেছেন।
আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশের ডিসিপি ( সেন্ট্রাল) ধ্রুব দাস এ বিষয়ে বিস্তারিত ভাবে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। এই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কাউকে ধরা হয়নি।
গাড়িটি আসানসোলে পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, এদিন সকালের দিকে থানার একটি গাড়ি কাঁকসা থানা এলাকায় ১৯ নং জাতীয় সড়কে টহল দেওয়ার দাঁড়িয়ে ছিলো। গাড়িকে দুটি সার্ভিস রাইফেল রেখে পুলিশ কর্মীরা দূরে দাঁড়িয়ে ছিলেন। সেই সুযোগে সেখান থেকে পুলিশের স্টিকার লাগানো সেই গাড়ি নিয়ে পালায় দূষ্কৃতিরা। সঙ্গে সঙ্গে তা কাঁকসা থানায় জানানো হয়। খবর দেওয়া হয় অন্য থানাতেও। তাতে বিভিন্ন থানা এলাকায় পুলিশ তৎপর হয়ে উঠে। এদিকে সেই গাড়ি নিয়ে আসানসোল শহরে ঢুকে পড়ে ছিনতাইকারীরা। জিটি রোডের বাজার আসানসোলের সিটি বাসস্ট্যান্ডের কাছে হটন রোড মোড়ের কাছে গাড়িটি ফেলে ছিনতাইকারীরা পালিয়ে যায়। পরে আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ সেই গাড়ির খোঁজ পায়।