সাতটি চুরির কিনারা করে সামগ্রী সহ সাত অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করল রানীগঞ্জ থানার পুলিশ
বেঙ্গল মিরর, চরণ মুখার্জী, রানীগঞ্জ : পুজোর মাঝেই একদিনের মাথায় সাতটি চুরির অভিযোগের কিনারা করে চুরি যাওয়া সামগ্রী সহ সাত অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করল আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের রানীগঞ্জ থানার পুলিশ। উদ্ধার হল চুরি যাওয়া স্কুটি থেকে শুরু করে, চানাচুর তৈরির মেশিন মন্দিরের বিভিন্ন বাসনপত্র এমনকি দুটি সবুজ সাথী প্রকল্পের সাইকেল সহ বহু সামগ্রী।
সবকটি চুরির ক্ষেত্রে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে ও নজরদারি চালিয়ে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের রানীগঞ্জ থানার পুলিশ পেল এই বড়সড় সফলতা। জানা যায় রাজ পাড়ার যে চানাচুর কারখানায় চোরেরা চুরির ঘটনা করেছিল সেখানে কারখানার মালিক তো জানতেই পারেননি যে তার কারখানায় চুরির ঘটনা ঘটেছে, পরে পুলিশ এই চুরির ঘটনা লক্ষ্য করে উদ্ধার করে চুরি যাওয়া চানাচুর কারখানার বিভিন্ন যন্ত্রাংশ, সেখানেই গতকাল রাত্রে গির্জা পাড়ার এক মনসা মন্দিরে চুরির ঘটনার অভিযোগ রানীগঞ্জ থানায় দায়ের হলেই রানীগঞ্জ থানার ইন্সপেক্টর বিকাশ দত্তের নেতৃত্বে রানীগঞ্জের পিসি পার্টির পুলিশ দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে সমস্ত তথ্য সিসিটিভি ও পারিপার্সিক সার্বিক বিষয়গুলিকে অনুসন্ধান করে চোরের গতিবিধির লক্ষ্য করার পরই তাদের পাকড়াও করে পায় সফলতা।
এরই মধ্যে মন্দিরের চুরি যাওয়া বিভিন্ন সামগ্রী ও স্কুটি চালকের কাছে তার চুরি যাওয়া স্কুটি ফেরত দিতেও তৎপর হয় পুলিশ। এই ঘটনায় পুলিশ মোট সাতজনকে গ্রেফতার করে, যাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন আবার ডাকাতির ঘটনা সংগঠিত করার পরিকল্পনা করতে গিয়ে ধরা পড়ে, তবে পুজোর মধ্যেই পুলিশ সার্বিকভাবে তৎপর থেকে এরূপ ভাবে একের পর এক ব্যবস্থা গ্রহণ করায় স্বভাবতই খুশি রানীগঞ্জ অঞ্চলের বাসিন্দারা। জানা গেছে বিগত সময়ে এই গত কয়েক মাসে চুরির ঘটনা খুবই কম সংখ্যায় লক্ষ্য করা গেছে রানীগঞ্জে বলেই দেখা যাচ্ছে পুলিশের তথ্যে। এলাকাবাসীদের এখন একটাই আশা ভরসা পুলিশ প্রশাসন সর্বদাই এরূপভাবে সক্রিয় থাকলে যেকোনো রূপ দুষ্কৃতিমূলক ঘটনা মুহূর্তে সমাধান করতে পারবে পুলিশ। সার্বিক এই কর্মকাণ্ড প্রসঙ্গে রানীগঞ্জ থানার ইন্সপেক্টর বিকাশ দত্ত ঠিক কি জানিয়েছেন শুনে নেওয়া যাক।