এবছরের মতো উমা বিদায়, মন্ডপে – মন্ডপে সিঁদুর খেলা, ঘাটে – ঘাটে প্রতিমা নিরঞ্জন
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ এবছরের মতো বিদায়। রবিবার দশমীর মধ্যে দিয়ে শেষ হলো এবারের দূর্গাপুজো বা শারদোৎসব। অপেক্ষা পরের বছরের জন্য।
এদিন সকাল থেকে আসানসোল শহর সহ গোটা শিল্পাঞ্চল জুড়ে মন্ডপে মন্ডপে শুরু হয়ে যায় নিরঞ্জনের শেষ প্রস্তুতি। সবার প্রথমে হয় মন্ডপ থেকে দোলা নিয়ে পুকুরে গিয়ে কলাবউ বিসর্জন। তারপর শুরু হয়ে সিঁদুর খেলার পালা। আসানসোল গ্রামের ৯ দূর্গাপুজোর একসঙ্গে হয় এই দুই পর্বকে নিয়ে হয় সুসজ্জিত শোভাযাত্রা। গ্রামের মহিলারা মেতে উঠেন সিঁদুর খেলায়। সেই শোভাযাত্রা গোটা গ্রামের রাস্তা দিয়ে গিয়ে শেষ হয় রামসায়ের পুকুরে।
![](https://bengalmirrorthinkpositive.com/wp-content/uploads/2024/05/img-20240520-wa01481045365085360283686-500x428.jpg)
![](https://bengalmirrorthinkpositive.com/wp-content/uploads/2024/09/img-20240909-wa00806721733580827251668.jpg)
![](https://bengalmirrorthinkpositive.com/wp-content/uploads/2024/12/fb_img_17339279922403722767543487143310-476x500.jpg)
![](https://bengalmirrorthinkpositive.com/wp-content/uploads/2024/10/img_20241013_1802366909459425366041332-500x280.jpg)
এই শোভাযাত্রায় অন্যদের মধ্যে ছিলেন আসানসোল গ্রাম দূর্গাপুজো কমিটি ও আসানসোল গ্রাম জিও নীলকন্ঠেশ্বর দেবোত্তর ট্রাস্টের সভাপতি শচীন রায়।
তিনি বলেন, আসানসোল গ্রামের ৯ দূর্গাপুজোর গোটা প্রক্রিয়াটি হয় পুরনো রীতি মেনে। সবকিছুর মধ্যে সবচেয়ে ঐতিহ্যশালী হলো দশমীর সকালে এই সিঁদুর খেলা। সেই রকমই ঐতিহ্য রয়েছে বিসর্জনের মধ্যেও।
![](https://bengalmirrorthinkpositive.com/wp-content/uploads/2024/10/img-20241013-wa02327182733037902700202-500x375.jpg)
এদিকে, এদিন দুপুর পর্যন্ত অনেক মন্ডপে হয় সিঁদুর খেলার পালা। এরপর সন্ধ্যে থেকে শুরু হয় বিসর্জনের পালা। আসানসোল ও বার্ণপুরে বিসর্জনের সঙ্গে বেরোয় আখড়া। যেখানে দেখানো হয় নানা শারীরিক কসরত।
অন্যদিকে, বিসর্জন নির্বিঘ্নে করতে পুলিশ প্রশাসনের তরফে নিরাপত্তা সহ সব প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। দামোদর সহ একাধিক পুকুরে লাগানো হয়েছে লাইট। করা হয়েছে ক্যাম্পও।