আসানসোল আইএমএর প্রতীকী রিলে অনশনে সিনিয়র ডাক্তাররা
আরজি করের ঘটনার জুনিয়র চিকিৎসকদের দাবি ও আন্দোলনে সমর্থন
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এক মহিলা ডাক্তারকে ধর্ষণ ও হত্যার প্রতিবাদে ও বিচার চেয়ে সমগ্র রাজ্যের সাধারণ মানুষের পাশাপাশি রাজ্য জুড়ে জুনিয়র ডাক্তাররাও টানা আন্দোলন করছেন গত দুমাসেরও বেশি সময় ধরে। ১০ দফা দাবিতে গত ৯ দিন ধরে আমরণ অনশনে রয়েছেন কলকাতার জুনিয়র চিকিৎসকরা। তাদের মধ্যে তিনজনের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায়, তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের ১০ দফা দাবি ও এই আন্দোলনের সমর্থন জানিয়েছে আইএমএর আসানসোল শাখা।




জুনিয়র ডাক্তারদের পাশে দাঁড়াতে রবিবার দশমীর দিন সকালে আসানসোলের বিবেকানন্দ সরণী বা সেনরেল রোডে আইএমএ কার্যালয়ের সামনে প্রতীকী রিলে অনশনে বসেন কয়েকজন সিনিয়র চিকিৎসক। তাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আসানসোলের জেলা হাসপাতালের ইএনটি বিশেষজ্ঞ ডাঃ বীরেশ্বর মণ্ডল, ডাঃ এন জি মুখোপাধ্যায়, ডাঃ জে মুখোপাধ্যায়, ডাঃ পার্থ প্রতিম দাস, ডাঃ জয় শঙ্কর সাহা শহরের কয়েকজন সিনিয়র চিকিৎসক।
তারা বলেন, আরজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মহিলা ডাক্তারকে যেভাবে ধর্ষণ ও খুন করা হয়েছিল তার বিরুদ্ধে সমগ্র রাজ্যের নাগরিক সমাজ বা সাধারণ মানুষের সাথে জুনিয়র ডাক্তাররা আন্দোলন করছেন। জুনিয়র ডাক্তাররা গোটা বাংলার সব মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের নিরাপত্তা, সামগ্রিক উন্নতি সহ ১০ দফা দাবিতে কলকাতায় আমরণ অনশনে বসেছেন। জুনিয়র চিকিৎসকেরা গোটা চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নতির জন্য অনশন করছেন। তারা আরো বলেন, চিকিৎসকদের এই দাবি নিজেদের স্বার্থের জন্য নয়, তারা সাধারণ মানুষদের স্বার্থ রক্ষার জন্য এইসব দাবিতে অনশন করছেন। জুনিয়র চিকিৎসকদের সমর্থনে এদিন আসানসোলে আইএমএর শাখার সামনে সিনিয়র চিকিৎসকরা প্রতীকী রিলে অনশন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এর পাশাপাশি আসানসোলের সিনিয়র চিকিৎসকরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে সোমবার তিন চিকিৎসকের একটি প্রতিনিধি দল কলকাতায় যাবেন।
এই চিকিৎসকেরা এই আন্দোলনকে সমর্থন করার জন্য তাদের সঙ্গে মঞ্চে বসবেন। পাশাপাশি তাদেরকে আর্থিক সাহায্য করা হবে। তা তাদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। যে কোন আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে অর্থের প্রয়োজন। তাই বিবেচনা করে এই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কলকাতায় জুনিয়র ডাক্তাররা যে আন্দোলন করছেন তা জনগণের স্বার্থ রক্ষার জন্য। এর জন্য তারা নিজেদের জীবন বাজি রেখেছেন। কিন্তু টানা অনশনের কারণে তিন জুনিয়র চিকিৎসকের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। তারপরেও তারা নিজেদের দাবি আদায়ে অনশন করে চলেছেন।