কেজি হাসপাতালে নার্স নিয়োগকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ
বেঙ্গল মিরর, কাজল মিত্র :- চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানার প্রধানতম চিকিৎসা কেন্দ্র কস্তুরবা গান্ধী হাসপাতাল এর এই হাসপাতালের সামনে শুক্রবার সকাল থেকে বিক্ষোভে সামিল হয় হাসপাতালের চুক্তিভিত্তিক কর্মরত নার্সেরা। তাদের অভিযোগ প্রায় দু বছর ধরে তারা এখানে কাজে নিযুক্ত থাকলেও তাদের বাদ দিয়ে নতুন ভাবে অন্য জায়গা থেকে তাদের জায়গায় নার্স নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। তাদের দাবি, প্রথমে তাদের সুযোগ দিতে হবে – এরপর প্রয়োজনে নতুন প্রার্থীদের কাজে নিতে হবে।সকাল ১০ টা থেকে এই বিক্ষোভ কর্মসূচির মধ্যেই বেলা প্রায় একটা নাগাদ সেখানে পৌঁছান সিআরএমসি নেতা ইন্দ্রজিৎ সিং।
তার কাছে অভিযোগ আসে যে, নতুন এজেন্সি প্রার্থীদের কাছ থেকে লক্ষাধিক টাকা ঘুষ নিয়ে তাদের কাজে বহালের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে।বিষয়টি নিয়ে ইন্দ্রজিৎ বাবু হাসপাতালের মুখ্য আধিকারিক রাজকুমার মুখার্জির সঙ্গে কথা বলেন। এরপর শ্রী সিং বলেন যারা এখন নার্স হিসেবে কর্মরত আছেন তাদের বিষয়ে কোনো দায়িত্ব কেজি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিতে চাইছেন না।কিন্তু প্রায় দু লক্ষ টাকা করে দিয়ে নতুনদের চাকরিতে ঢোকানোর যে অভিযোগ উঠেছে তা লিখিতভাবে দিলে বিষয়টি তদন্ত করে সত্যাসত্য প্রমাণের পর তিনি নতুন এজেন্সিকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। উল্লেখ্য, ২০২২- ২৩ এবং ২৩-২৪ আর্থিক বর্ষের জন্য বহু চুক্তিভিত্তিক নার্স কেজি হাসপাতালে কাজ করছেন।
এবার পুরনো এজেন্সিকে বাতিল করে নতুন এজেন্সিকে ২৬ জন স্টাফ নার্স সহ ফার্মাসিস্ট, ল্যাবরেটরি অ্যাসিস্ট্যান্ট/এ্যটেনডেন্ট, ক্লিনিকাল সাইকোলজিস্ট, হেলথ এন্ড ম্যালেরিয়া ইন্সপেক্টর, ফিজিওথেরাপিস্ট ইত্যাদি পদে প্রায় ৩৬ জনকে নিয়োগের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ জন্য কয়েক কোটি টাকার টেন্ডার পেয়েছে উত্তরপ্রদেশের একটি এজেন্সি। সেই এজেন্সির দায়িত্বপ্রাপ্ত কলকাতার এজেন্ট চিত্তরঞ্জন অঞ্চলে পেটি এজেন্টদের দায়িত্ব দিয়েছে এ বিষয়টি দেখাশোনা করার জন্য।
অভিযোগ উঠেছে সেই এজেন্টরা পুরনোদের বাদ দিয়ে টাকার বিনিময়ে নতুনদের নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। কর্মরত নার্সদের দাবি তারা নতুনভাবে নিয়োগের বিষয়ে আগে কিছুই তাদের জানানো হয় নি, তাদের সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখে নতুনদের এখানে কাজের সুযোগ করে দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। কিন্তু দু বছর কাজ করার পরও তাদের কেন বাতিল করা হচ্ছে নতুন এজেন্সির কাছে সেই প্রশ্ন রেখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে তারা বলেছেন আগে তাদের বহাল রাখতে হবে, প্রয়োজন হলে তারপর নতুনদের নিযুক্তি দিতে হবে। এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়ার জন্য নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত এজেন্সির কারও সাথে যোগাযোগ করা যায়নি।