আসানসোলে তৃণমূলের বিজয়া সম্মিলনী, সিপিএম ও বিরোধীদের একযোগে আক্রমণ, মন্ত্রী মলয় ঘটকের
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ এবারের দূর্গাপুজো ও কার্নিভাল দেখতে না যাওয়া এবং পন্ড করার চক্রান্ত করেছিলো সিপিএম ও বাংলা বিরোধী বেশকিছু মানুষ। যারা আসলে হলো নাস্তিক। শুধু তাই নয়, এইসব মানুষেরা যাতে পুজো কমিটিরা সরকারি অনুদান না নেয়, তারও পরিকল্পনা করেছিলো। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। শনিবার আসানসোলের রবীন্দ্র ভবনে আসানসোল উত্তর বিধান সভা তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক ১ এর পক্ষ থেকে হওয়া বিজয়া সম্মিলনী থেকে এইভাবে বিরোধীদের আক্রমণ করলেন রাজ্যের আইন ও শ্রম মন্ত্রী মলয় ঘটক।




একইসাথে তিনি দলের পুরনো নেতা ও কর্মীদেরকে সাথে নিয়ে কাজ করার জন্য নতুনদের পরামর্শ দেন। পাশাপাশি তিনি লোকসভা নির্বাচনে যেসব ওয়ার্ড ও বুথে দলের প্রার্থীর হার হয়েছে, তার কারণ খুঁজতে ও ঐসব এলাকায় আরো বেশি করে মানুষের কাছে যাওয়ার নির্দেশ দেন। এদিন আসানসোলের রবীন্দ্র ভবনের পাশাপাশি আসানসোলের সেনরেলের শ্রমিক ভবনে ব্লক ২ এর তরফে আরো একটি বিজয়া সম্মেলনে আয়োজন করা হয়েছিলো। দুজায়গাতেই মুখ্য বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আসানসোল উত্তর বিধান সভা বিধায়ক তথা রাজ্যের আইন ও শ্রম মন্ত্রী মলয় ঘটক
অনুষ্ঠান দুটিতে মন্ত্রী মলয় ঘটক আরো বলেন, আমরা দূর্গাপুজো কেন করি? আমরা মায়ের কাছে বলি, তিনি যেন অশুভ শক্তির বিনাস করেন ও শুভ শক্তির উদয় করেন। কিন্তু এবছর দেখা গেলো, যে কিছু অশুভ শক্তি বাংলার দূর্গাপুজোকে পন্ড করার চক্রান্ত করেছিলো। যাতে মানুষ ঠাকুর দেখতে না যান, মন্ডপে মন্ডপে, তার জন্য অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করেছিলো। দূর্গাপুজোর কার্নিভাল যাতে মানুষ দেখতে না আসে, তারজন্য পাড়ায় পাড়ায় ক্যাম্পেনিং করা হয়েছিলো। কিন্তু তাদের চক্রান্ত ব্যর্থ হয়েছে। আর এইসবের পেছনে সিপিএমের হাত ছিলো। কারণ সিপিএমের নেতারা পুজো করেনা, ধর্ম মানেনা। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১১ সালে ৩৪ বছরের বাংলায় জগদ্দল পাথরের মতো থাকা সিপিএম তথা বামফ্রন্টের সরকারকে হটিয়ে ছিলেন। তিনি আরো বলেন, এবারে আসানসোলের দূর্গাপুজোর কার্নিভাল ২৫ হাজার মানুষ দেখেছেন। গত বছরের থেকে ৫ গুন বেশি। এবার আরো কয়েক লক্ষ মানুষ সোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে কার্নিভাল দেখেছেন।
দুটি বিজয়া সম্মিলনীতে অন্যদের মধ্যে ছিলেন জামুড়িয়ার বিধায়ক হরেরাম সিং, আসানসোল পুরনিগমের মেয়র পারিষদ গুরুদাস ওরফে রকেট চট্টোপাধ্যায়, দুই ব্লকের দুই সভাপতি, মহিলা তৃণমূল সভাপতি অসীম চক্রবর্তী এবং বিভিন্ন ওয়ার্ডের ওয়ার্ড কাউন্সিলররা