ASANSOL

আসানসোল ” বিহারি বাবু” থেকে ” বাঙালি বাবু ” বানিয়ে দিয়েছে, বাবার সংসদীয় কেন্দ্রে এসে উচ্ছসিত অভিনেত্রী সোনাক্ষী সিনহা

আসানসোলে খুললো কল্যান জুয়েলার্সের নতুন শোরুম

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দ্যোপাধ্যায়, দেব ভট্টাচার্য ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ বাবা শত্রুঘ্ন সিনহা দু-দুবারের নির্বাচিত সাংসদ। তাই বাবার সংসদীয় কেন্দ্র বা কনস্টিটিউয়েন্সিতে আসার আলাদা একটা মাহাত্ম্য আছে। হলোও তাই। বুধবার সন্ধ্যায় আসানসোলে জিটি রোডের মূর্গাশোলে কল্যান জুয়েলার্সের একটি শোরুমে উদ্বোধন করতে এসে রীতিমতো উচ্ছ্বসিত বলিউড অভিনেত্রী সোনাক্ষী সিনহা। তিনি বলেন এটা আমার বাবার লোকসভা কেন্দ্র। বাবাকে তো আসানসোল ” বিহারি বাবু” থেকে ” বাঙালি বাবু ” বানিয়ে দিয়েছে। তার জন্য আমি খুব খুশি। বাবাকে এখান থেকে নির্বাচিত করায় আমি আসানসোলের মানুষদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। সোনাক্ষী এদিন সন্ধ্যা সোয়া পাঁচটা নাগাদ শোরুমে আসেন। শোরুমের বাইরে একটা মঞ্চ তৈরি করা হয়েছিলো। সাংসদ কন্যার উদ্বোধন নিয়ে যাতে কোনরকমের কিছু কোন ঘটনা না ঘটে, তারজন্য কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছিলো।

আসানসোল দক্ষিণ থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিলো। ছিলো অভিনেত্রীর ব্যক্তিগত নিরাপত্তা রক্ষীরাও। মঞ্চে মিনিট পনেরো থাকার মধ্যে সামান্য কথা বলেন। পরে নিজের করা সিনেমা গানের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নাচও করে অভিনেত্রী। মঞ্চ থেকে নেমে তিনি ফিতে কেটে শোরুমের উদ্বোধন করেন। সেই সময় শোরুমে সাধারণের প্রবেশাধিকার ছিলোনা। কোম্পানির আধিকারিক ও কর্মীদের সঙ্গে যারা ফ্র্যানচাইজি নিয়েছেন তারা ছিলেন। উদ্বোধন করে, সবমিলিয়ে আধঘন্টার মতো সময় সেখানে থেকে তিনি চলে যান। তবে তাকে দেখতে শোরুমের সামনে ভিড় ছিলো চোখে পড়ার মতো।


প্রথমে ২০২২ সালে আসানসোল লোকসভা লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে জিতে প্রথমবার বর্ষীয়ান বলিউড অভিনেতা শত্রুঘ্ন সিনহা সাংসদ হন। পরে এই ২০২৪ সালে আবার লোকসভা নির্বাচনে জিতে তিনি আসানসোলের সাংসদ হন। তবে, বাবার হয়ে আসানসোলে এরমধ্যে মেয়ে সোনাক্ষী সিনহা আসেননি।


এদিকে, যে ভবন বা বহুতলে এই শোরুমটি হয়েছে, তা নিয়ে বিতর্ক ইতিমধ্যেই তৈরি হয়ে আছে। এই ভবনের একাংশ আসানসোল পুরনিগমের পাশ করা প্ল্যান বা নকশার বাইরে করা হয়েছে বলে অভিযোগ। যে কারণে আসানসোল পুরনিগমের ইঞ্জিনিয়ারিং দপ্তর ও লিগ্যাল সেল ভবন এনকোয়ারি করে। তাতে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হয়েছে এদিন জানিয়েছেন আসানসোল পুরনিগমের আইনী উপদেষ্টা প্রাক্তন মেয়র পারিষদ রবিউল ইসলাম । পুরনিগমের তরফে যে কারণে জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এর পাশাপাশি ঐ ভবনের মালিকের পরিবারের সদস্যরা আসানসোল আদালতে এর নির্মাণ নিয়ে মামলাও করেছেন। তা এখানে আদালতে বিচারাধীন রয়েছে বলে আসানসোল পুরনিগম সূত্রে জানা গেছে। তবে কল্যান জুয়েলার্স ও বাড়ির মালিকের তরফে এই নিয়ে কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায় নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *