RANIGANJ-JAMURIA

জামুড়িয়ায় অবসরপ্রাপ্ত খনি কর্মীর একাউন্ট থেকে ১ মাসের বেশি সময়ে উধাও প্রায় ৬ লক্ষ টাকা

বেঙ্গল মিরর, জামুড়িয়া, দেব ভট্টাচার্য ও রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ* আসানসোল শিল্পাঞ্চলে আবারও সাইবার অপরাধের ঘটনা ঘটলো। এবার জামুড়িয়ার বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত এক খনি কর্মীর ব্যাঙ্ক একাউন্ট থেকে উধাও হয়ে গেলো ৫ লক্ষ ৮২ হাজার ১০০ টাকা। সেপ্টেম্বর মাস থেকে অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি সময়ে মোট ৩৩ দিনে ধাপে ধাপে এই পরিমাণ টাকা জামুড়িয়ায় রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কের একটি শাখা থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে, এই পরিমাণ টাকা তোলা হলেও গ্রাহক হিসেবে ঐ অবসরপ্রাপ্ত খনি কর্মীর কাছে ফোন মারফত কোন ওটিপি বা ম্যাসেজ যায়নি বলে জানা গেছে। যে কারণে বেশ কিছু প্রশ্ন ইতিমধ্যেই উঠতে শুরু করেছে। বুধবার এই টাকা গায়েব হয়ে যাওয়ার ঘটনা জানাজানি হওয়ার পরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। জামুড়িয়া থানার তপসি গ্রাম পঞ্চায়েতের কুনুস্তোরিয়া গ্রামের বাসিন্দা বামাপদ মন্ডল নামে ঐ অবসরপ্রাপ্ত খনি কর্মী ব্যাঙ্কের পাশাপাশি আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের সাইবার থানায় টাকা উধাও হয়ে যাওয়ার কথা জানিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যাঙ্ক ও সাইবার থানা তদন্ত শুরু করেছে। 


জানা গেছে, জামুড়িয়ার বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত খনি কর্মী বামাপদ মন্ডলের একটি রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কের জামুড়িয়া শাখায় ব্যাঙ্ক একাউন্ট আছে। বুধবার তিনি ব্যাঙ্কে নিজের পাশবই আপডেট করাতে যান। তখন তিনি দেখেন গত ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত ৩৩ দিনের মধ্যে ধাপে ধাপে সবমিলিয়ে ৫ লক্ষ ৮২ হাজার ১০০ টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই বামাপদবাবুর মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে। কারণ চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পরে পাওয়া এই টাকাই তার শেষ জীবনের সম্বল। গোটা বিষয়টি সঙ্গে তিনি ব্যাঙ্ক ম্যানেজারকে জানান। সঙ্গে ব্যাঙ্ক ম্যানেজার দেখেন, গ্রাহক যে অভিযোগ করছেন, তা একেবারে ঠিক। স্বাভাবিক ভাবেই ব্যাঙ্কে শোরগোল পড়ে যায়।


বামাপদ মন্ডল বলেন, টাকা তোলার কোন ম্যাসেজ বা ওটিপি আমার কাছে আসেনি। কোন ডিজিট্যাল পেমেন্ট করিনি। কোন অনলাইন এ্যাপস্ও আমি ব্যবহার করিনা। তাহলে কি করে আমার ব্যাঙ্ক একাউন্ট থেকে এতো পরিমাণ টাকা কে বা কারা তুলে নিলো, তা বুঝতে পারছি না। তিনি আরো বলেন, আমি গোটা ঘটনাটি ব্যাঙ্ক ও আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের সাইবার থানায় জানিয়ে অভিযোগ দায়ের করেছি।
এই প্রসঙ্গে ব্যাঙ্ক ও থানার তরফে বলা হয়েছে, অভিযোগ গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কি করে এই টাকা তুলে নেওয়া হলো তার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
তবে, গ্রাহকের অঞ্জাতে তার ব্যাঙ্ক একাউন্ট থেকে টাকা তুলে নেওয়ার ঘটনা নতুন কিছু নয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *