ASANSOL

আসানসোলে কালি পুজোর উদ্বোধনে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা, কেন্দ্রের আয়ুষ্মান প্রকল্পের প্রসঙ্গ টেনে রাজ্যের স্বাস্থ্যসাথী কার্ডকে কটাক্ষ

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দ্যোপাধ্যায়ঃ  কল্যানী এমএসের অনুষ্ঠানে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কেন্দ্রের আয়ুষ্মান প্রকল্পকে সামনে এনে দিল্লি ও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সমালোচনা করেছেন। এবার প্রধানমন্ত্রী সেই প্রসঙ্গকে টেনে রাজ্যের স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে খোঁচা দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তার কটাক্ষ বাইরের রাজ্য তো ছেড়ে দিন বাংলার নামী বেসরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের লাভ সাধারণ মানুষেরা পাননা।


মঙ্গলবার ধনতরাসের দিন সন্ধ্যায় পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলের বড়তোড়িয়ায় আমরা সবাই সোশাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটির কালি পুজোর উদ্বোধন করেন শুভেন্দু অধিকারী। তার সঙ্গে ছিলেন বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায় সহ অন্য নেতারা। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা ফিতে কেটে এই পুজোর উদ্বোধন করেন। পরে তিনি মায়ের সামনে প্রদীপ জ্বালান ও মাকে লাল জবার মালা পড়িয়ে দেন।


উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পরে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দিল্লি ও পশ্চিমবঙ্গে ৭০ বছরের উর্ধ্বে সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য কেন্দ্রের আয়ুষ্মান প্রকল্প চালু না করা নিয়ে আক্ষেপ ও অভিমান ব্যক্ত করেছেন। একজন প্রধানমন্ত্রীর এটাই স্বাভাবিক। কেন্দ্রের এই প্রকল্পে সিনিয়র সিটিজেনরা স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে চিকিৎসার জন্য ৫ লক্ষ টাকার সুবিধা পাবেন। এই কার্ড দেশের সব হাসপাতালে চলে। এরজন্য কোনকিছু করতে হয়না। সিনিয়র সিটিজেন হলেই এর সুবিধা পাওয়া যায়। একমাত্র দিল্লি ও পশ্চিমবঙ্গের সরকার তা চালু করেনি।

এই প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, বাংলা যে তথাকথিত স্বাস্থ্য সাথী কার্ড চালু আছে, তার সুবিধা বাংলাতে ভালো করে পাওয়া যায় না। দূর্গাপুর বা বাংলার যে কোন বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোমে রোগী নিয়ে গেলে, আগে জানতে চাইবে, ক্যাশ না কার্ড। আপনি যেই স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের কথা বলবেন, স্বাস্থ্য সাথী কার্ড। সঙ্গে সঙ্গে তারা বলবেন, বেড নেই। ডাক্তার নেই বা ঐ চিকিৎসা হয়না। এর ওটি হবেনা। আর যেই বলবেন, ক্যাশ সঙ্গে সঙ্গে রোগীকে ভর্তি করে নিয়ে, তার চিকিৎসা শুরু হয়ে যাবে। বলবে  আজই ওটি হয়ে যাবে। ওটা একটা ভুয়া কার্ড।  তাই আমি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা হয়ে রাজ্যের সরকারকে বলছি, প্রধানমন্ত্রী আক্ষেপ ও দুঃখকে গুরুত্ব দিন। আর সব ত্রুটি শুধরে নিয়ে এই রাজ্যে কেন্দ্রের আয়ুষ্মান প্রকল্প চালু করার উদ্যোগ নিন।


এদিন তিনি একইসাথে আবাস যোজনা নিয়ে রাজ্যের শাসক দল তৃনমুল কংগ্রেসকে আবারও আক্রমণ করেন। তার বক্তব্য, এটা কমপ্লিটলি রাজনীতি। তৃনমুল কংগ্রেস অনেক দিন খেতে পায়নি। তাই তারা আবার এটা বিক্রি করার জন্য মাঠে নেমেছে।

News Editor

Mr. Chandan | Senior News Editor Profile Mr. Chandan is a highly respected and seasoned Senior News Editor who brings over two decades (20+ years) of distinguished experience in the print media industry to the Bengal Mirror team. His extensive expertise is instrumental in upholding our commitment to quality, accuracy, and the #ThinkPositive journalistic standard.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *