ASANSOL

আসানসোলে মাথায় মেরে স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে, তদন্তে পুলিশ

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দ্যোপাধ্যায়ঃ শারীরিক নির্যাতনের পরে মাথায় ভারী কোন জিনিস দিয়ে মেরে স্ত্রীকে খুন করার অভিযোগ উঠলো স্বামীর বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার কালি পুজোর রাতে এই ঘটনাটি ঘটেছে। আসানসোল দক্ষিণ থানার উষাগ্রামের টেগোর রোড দূর্গা মন্দির এলাকার বাসিন্দা মৃত গৃহবধূর নাম অর্পিতা ঘোষ ( ১৮)। শুক্রবার বিকেলে ম্যাজিস্ট্রেটের রিপোর্টের ভিত্তিতে আসানসোল জেলা হাসপাতালে গৃহবধূর মৃতদেহর ময়নাতদন্ত হয়। এই ঘটনার পর থেকে বেপাত্তা গৃহবধূর স্বামী আশীষ ভার্মা।


পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, তিন বছর আগে আসানসোলের ১ নং মহিশীলা কলোনির পূর্ব পাড়ার বাসিন্দা অর্পিতা ঘোষের সঙ্গে আসানসোলের উষাগ্রামের টেগোর রোড দূর্গা মন্দির এলাকার বাসিন্দা আশীষ ভার্মার বিয়ে হয়েছিলো। বর্তমানে তাদের ২ বছরের একটি সন্তান রয়েছে। বৃহস্পতিবার কালি পুজোর রাতে আশীষ ভার্মা স্ত্রী অর্পিতা ঘোষকে গুরুতর জখম অবস্থায় আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তখন তিনি জেলা হাসপাতালের এমারজেন্সি বিভাগে কর্মরত চিকিৎসককে বলেছিলেন, তার স্ত্রী আসানসোলের নিউ গুসিকের কাছে রেল ব্রিজের ওপরে উঠে চলন্ত ট্রেনের সামনে ঝাঁপিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু সে ট্রেনের ধাক্কায় ব্রিজের ওপর থেকে নিচে পড়ে যায়। তিনি খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে এনেছেন।


এদিকে, পরে খবর মৃতার মা অর্পিতা ঘোষের মা পিয়ালি ঘোষ সহ বাপেরবাড়ির লোকেরা জেলা হাসপাতালে ছুটে আসেন। তিনি পুলিশের কাছে অভিযোগ করে বলেন, মেয়ে আত্মহত্যা করতে যায়নি। স্বামী আশীষ ভার্মা তার উপর বিয়ের পর থেকেই শারীরিক নির্যাতন করতো। স্বামী তার মাথায় ভারী কোন জিনিস দিয়ে মেরে খুন করেছে।
জেলা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের পরে জানা গেছে, মৃতার মাথার ডানদিকে বড় ধরনের জখম আছে। যার থেকেই রক্তক্ষরনে তার মৃত্যু হয়েছে।
এই ঘটনা নিয়ে এক পুলিশ আধিকারিক শনিবার বলেন, মৃতার মা একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন ময়নাতদন্তের সময়। দেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। রিপোর্ট পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মৃতার স্বামী ঘটনার পর থেকে বেপাত্তা রয়েছে। তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছেনা। এও জানা গেছে, আশীষ ভার্মার চতুর্থ স্ত্রী ছিলেন মৃত অর্পিতা ঘোষ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *