বার্নপুরে মারধরে যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতার ৩
বেঙ্গল মিরর, বার্নপুর ও আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ বচসা থেকে মারধরে এক যুবকের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করলো আসানসোলের হিরাপুর থানার পুলিশ। শনিবার রাতে মৃত যুবকের পরিবারের তরফে করা নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে এই তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে রবিবার এক পুলিশ আধিকারিক জানান। ধৃতদের নাম হলো রাজু কর্মকার, বিশাল বাউরি ও বিজয় বাউরি। রবিবার ধৃতদেরকে আসানসোল আদালতে পেশ করা হয়। পুলিশের আবেদনের ভিত্তিতে বিচারক তাদের জামিন নাকচ করে তিনদিনের পুলিশ রিমান্ডের নির্দেশ দেন।
শুক্রবার রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ এই ঘটনাটি ঘটেছিলো আসানসোলের হিরাপুর থানার বার্ণপুরের ছিন্নমস্তা মন্দিরের কাছে। শনিবার সকালে এই ঘটনার কথা জানাজানি হওয়ার পরে, এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। হিরাপুর থানার বার্নপুরের রাধানগরের নিচু পাড়ার বাসিন্দা মৃত যুবকের নাম মুকেশ চৌহান (৩৬)। ধৃত তিনজনও ঐ এলাকার বাসিন্দা। শনিবার দুপুরে আসানসোল জেলা হাসপাতালে যুবকের মৃতদেহর ময়নাতদন্ত হয়। এরপর মৃত যুবকের পরিবারের তরফে হিরাপুর থানায় গোটা ঘটনার কথা জানিয়ে রাজু কর্মকার, বিশাল বাউরি ও বিজয় বাউরির নামে লিখিত ভাবে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিলো। তার আগেই এই ঘটনার কথা জানতে পেরে তদন্ত শুরু করেছিলো হিরাপুর থানার পুলিশ। এরপর রাতে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়, এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে। মৃত যুবক ও ধৃতরা পূর্ব পরিচিত।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পেশায় রং মিস্ত্রি বার্নপুরের বাসিন্দা মুকেশ চৌহান শুক্রবার রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ মোটরবাইক করে বার্নপুরের ছিন্নমস্তা মন্দিরের রাস্তা দিয়ে বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন। সেই সময় ছিন্নমস্তা পুকুরের কাছে ধৃত তিনজনের সঙ্গে মুকেশের বচসা হয়। সবাই মদ্যপ অবস্থায় ছিলো। প্রথম বচসা হওয়ার পরে মুকেশ চলে যায়। পরে একজনকে সঙ্গে নিয়ে সে আবার ঐ এলাকায় আসে। তখন নতুন করে আবারও বচসা হয়। অভিযোগ, তাকে তখন ঐ যুবকেরা মারধর করে। সেই সময় সে রাস্তায় পড়ে যায়। এরপর শনিবার সকাল নটা নাগাদ এলাকার বাসিন্দারা মুকেশকে রাস্তার পাশে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা আসেন। তারপর মুকেশকে আসানসোল জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে দুপুরে সেখানে তার মৃত্যু হয়।
এই প্রসঙ্গে পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, এই ঘটনায় খুনের মামলা করা হয়েছে। তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে। ঠিক কি ঘটনা ঘটেছে তা জানতে ধৃতদেরকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। সবদিক খতিয়ে দেখে তদন্ত চলছে।