রানীগঞ্জ পুলিস জামতাড়া গ্যাং এর সদস্য মামা – ভাগনাকে টাকা হাতানোর আগেই গ্রেফতার করলো
বেঙ্গল মিরর, চরণ মুখার্জি, রানীগঞ্জ : কালীপুজোর উৎসবের মাঝেই আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের রানীগঞ্জ থানার পুলিস গোপন সূত্রে খবর পেয়ে এটিএম এ জালিয়াতি করা জামতাড়া গ্যাং এর ২ সদস্য মামা ভাগনাকে এটিএম এ টাকা হাতানোর আগেই হাতেনাতে গ্রেফতার করলো। গত ২৫ শে অক্টোবর থেকে ১ই নভেম্বর পর্যন্ত পুজোর দিনগুলিতে এই দুষ্কৃত দল হিরাপুর থানায় চারটি এটিএম আসানসোল দক্ষিণের ৪-৫টি এটিএম নর্থ এর চার পাঁচটি এটিএম সহ বেশ কয়েকটি এলাকায় এটিএমে অভিনব উপায়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটাচ্ছিল। আর এই বিষয়টি রানীগঞ্জ থানার পুলিশ প্রশাসনের কাছে খবর পৌঁছানোর পরই রানীগঞ্জ থানার পিসি পার্টির পুলিশ সতর্ক হয়ে সাইবার ক্রাইমের বিশেষ টিম এই সদস্যদের এটিএম এ টাকা হাতানোর ছবি হাতের নাগালে পেয়ে, শহরে ঢোকার খবর পাওয়ার পরই নড়ে চড়ে বসে।
পুলিশ এটি জানতে পারে এই মামা ভাগ্নের জামতাড়া দলের সদস্য বছর ১৮র জুনেদ আলী ও বছর ২৮ এর আসানসোলের বোতল মসজিদ এলাকার বাসিন্দা আরমানুল হক রানীগঞ্জে একটি টেম্প করে,এখানের এটিএম এ প্রতারণা করার আগেই রানীগঞ্জের মিনিসিপাল কর্পোরেশনের থেকে স্টেশনের দিকে যাওয়ার সময় পুলিশের নজরে পড়ে যায়। আর আগে থেকেই এই সকল দুষ্কৃতিদের ছবি রানীগঞ্জ থানার ইন্সপেক্টর বিকাশ দত্তের কাছে এসে পৌঁছোনয় তিনি সমস্ত পিসি পার্টির পুলিশকে সজাগ করে রাখায় পুলিশ ওই দুষ্কৃতীদের লক্ষ্য করে ছবি মিলিয়ে দেখতে তাদের উপস্থিতির বিষয়টি আঁচ করে মুহূর্তে তাদের পাকড়াও করে।
জানা গেছে এ সকল দুষ্কৃতি দল এটিএম কাউন্টার গুলির মধ্যে নজরদারি রেখে যে সকল এটিএম গ্রাহক অল্প একটু কম বোঝে তাদের এটিএম কার্ড ও পাসওয়ার্ড সহ নানান তথ্য বিভিন্ন ছল চাতুরির মাধ্যমে জেনে নিয়ে হাতিয়ে নিতো লক্ষ লক্ষ টাকা। আর এই সমস্ত কাজটাই পরিচালিত করত জামতাড়া গেংয়ের সদস্যরা। রবিবার পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই তারা তাদের অপরাধের কথা স্বীকার করে। সোমবার ধৃতদের আসানসোল জেলা আদালতে হাজির করা হলে, বিচারক ধৃতদের পুলিশি হেফাজতে নেওয়ার নির্দেশ দেন। এখন দেখার এই দলের সঙ্গে আর কারা কারা যুক্ত রয়েছে তার অনুসন্ধান করতে কতটা তৎপর হয় পুলিশ।