মাছ সরবরাহের আড়ালে গাঁজা পাচার
বেঙ্গল মিরর, চরণ মুখার্জী, রানীগঞ্জ : মাছ সরবরাহের আড়ালে চলছিল গাঁজা পাচার। উদ্ধার হল প্রায় ২ কুইন্টাল গাজা। আসানসোল পুলিশ কমিশনারেটের রানীগঞ্জ থানার পাঞ্জাবি মোড় ফাঁড়ির পুলিশ ও ডিটেকটিভ ডিপার্টমেন্টের পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ছট পুজোর দিন সকালেই অতর্কিতে ওই মাছের গাড়ি পাকড়াও করে পায় সফলতা। ঘটনা প্রসঙ্গে জানা যায় মেদিনীপুরের বেলদা থেকে বীরভূমের দুবরাজপুর নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল এই বিপুল পরিমাণ গাঁজা, বলেই জানিয়েছে ওই গাঁজা পাচারের যুক্ত ২ যুবক বছর ১৯ এর অভিজিৎ সাঁই, ও বছর কুড়ি শুভঙ্কর সিংহ। দুজনেই বেলদা থানা এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
ঘটনা প্রসঙ্গে জানা যায় শুক্রবার ভোর প্রায় সাড়ে চারটে নাগাদ আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের রানীগঞ্জ থানার পাঞ্জাবি মোড় ফাঁড়ির আইসি ইন্সপেক্টর রবীন্দ্রনাথ দলুই এর সঙ্গে ডিটেকটিভ ডিপার্টমেন্টের এসিপি শান্তনু মুখার্জী , রানীগঞ্জের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক শুভদীপ গোস্বামী কে সঙ্গে নিয়ে এই বিশেষ অভিযান চালায়। দেখা যায় বেলদা থেকে আসা ওই গাড়ির মধ্যে থাকা প্রায় ৪২ টি কন্টেনারে ওপরের থাক বরফ ও চাদর দিয়ে মোড়া, আর সেই সকল বরফ আর চাদর সরিয়ে থার্মোকলের কন্টেনার গুলি খুলতেই তার মধ্যে থাকা বরফ সরাতেই, তার ভেতরে মাছের জায়গায় মিলল প্লাস্টিকের মোড়কে বাধা কেজি কেজি গাঁজা। ।
এরকম প্রায় ৩৯ টি থার্মোকল বক্সে প্রায় ১৮০ কেজিরর বেশি পরিমাণ গাঁজা, উদ্ধার করলো পুলিশ। যার বাজার মূল্য প্রায় দুই কোটি টাকা বলে জানা গেছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান সম্ভবত উড়িষ্যা থেকে পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার দিকে এই গাঁজা পাচার করার জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, আর তার মাঝেই পুলিশ চালায় এই অতর্কিত অভিযান। তবে এরূপভাবে আগেও গাঁজা পাচার হয়েছে কিনা সে সম্পর্কে এখনো কোনো তথ্য উঠে আসেনি। এখন দেখার সমস্ত বিষয়টা জিজ্ঞাসাবাদ করেই এই পাচার চক্র সম্পর্কে আর কি জানতে পারে পুলিশ। স্থানীয় এলাকার বাসিন্দাদের দাবি এর আগে তারা কখনো এরকম ঘটনা লক্ষ্য করেনি, আগে তারা সিনেমায় এ ধরনের পাচারের বিষয় লক্ষ্য করেছিল, তবে প্রথমবার তারা রিয়েল লাইফে এরকম ভাবে গাঁজা পাচার হওয়ার বিষয়টি লক্ষ্য করল, যা অনেকটাই ভাবিয়ে তুলেছে তাদের বলেই দাবি করেন।