নিরাপদ নয় আসানসোল আদালত চত্বর, দিনেদুপুরে হাজত কর্মীর বাইক চুরির চেষ্টা, হাতেনাতে পাকড়াও এক
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও দেব ভট্টাচার্যঃ নিরাপদ হয় আসানসোল আদালত চত্বরও। দিনেদুপুরে আদালত চত্বর থেকে এক হাজত কর্মীর মোটরবাইক চুরির চেষ্টা করলো এক দূষ্কৃতি। তবে সেই চেষ্টা বানচাল করে দিয়ে হাতেনাতে পাকড়াও করা হয়েছে সেই দূষ্কৃতিকে। শনিবার দুপুরে ঘটা এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আদালত চত্বরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। ধৃত দেবদাস রায় আসানসোলের হিরাপুর থানার বার্নপুরের পুরুষোত্তমপুরের বাসিন্দা বলে জানা গেছে। সোমবার ধৃতকে আসানসোল আদালতে পেশ করে, জেরা করার জন্য হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করবে আসানসোল দক্ষিণ ( পিপি) থানার পুলিশ।




জানা গেছে, শনিবার দুপুরে আসানসোল জেলা আদালতের কাছে আদালত চত্বরে হাজত বিভাগের এক কর্মী প্রদ্যুৎ ঠাকুরের মোটরবাইক পার্ক করা ছিল। দ্বিতীয় শনিবার হওয়ায় আদালতে আইনজীবীদের কাজ বন্ধ ছিল। তেমন লোকজনও আদালত চত্বরে ছিল না। সেই সময় সুযোগে এক দুস্কৃতি আদালতের কাছে রাখা হাজত কর্মী প্রদ্যুৎ ঠাকুরের মোটরবাইকে মাস্টার চাবি দিয়ে খুলে তা নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিছুক্ষন ধরেই ঐ দুষ্কৃতি ঐ মোটরবাইকের আশেপাশে নজর রাখছে বা ঘুরছে, সেটা লক্ষ্য করছিলেন আসানসোল আদালতের হাজতের ইনচার্জ মহঃ আমিনুল ইসলাম। তার নজরে পড়ে ঐ দূষ্কৃতির উপর। তিনি সঙ্গে সঙ্গে অন্যদেরকে নিয়ে ঐ দূষ্কৃতিকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন। এরপর আসানসোল দক্ষিণ (পিপি) পুলিশ ফাঁড়িতে বিষয়টি জানানো হয়। সেই খবর পেয়ে পুলিশ আদালতে আসে। তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
পুলিশ জানায়, ধৃতর নাম দেবদাস রায়। সে হিরাপুর থানার বার্নপুরের পুরুষোত্তমপুরের বাসিন্দা।
সোমবার আসানসোল জেলা আদালতে তাকে হাজির করে হেফাজতে নেওয়া হবে বলে পুলিশের এক আধিকারিক এদিন জানান।
এই ঘটনার পরে অনেকে বলছেন, আদালতের ছুটির দিনেই এই অবস্থা। দিনেদুপুরে দূষ্কৃতিদের দৌরাত্ব। অথচ কাজের দিনে আদালত চত্বরে আইনজীবী, কর্মী ও সাধারণ মানুষের শতাধিক মোটরবাইক আদালত চত্বরে পার্কিং করা থাকে। তাহলে সবার অলক্ষ্যে বাইক যে কোনো সময় চুরি হয়ে যেতে পারে। এ বিষয়ে পুলিশ প্রশাসনের আরো নজর দেওয়া দরকার বলে তারা মনে করেন।