ASANSOL

সালানপুরে জেলা পরিষদের টোল ১০ বছর ধরে বিনা টেন্ডারেই চলছে

বেঙ্গল মিরর, সালানপুর ও আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ পশ্চিম বর্ধমান জেলার সালানপুরের ঝাড়খণ্ড-বাংলা সীমান্তে পশ্চিম বর্ধমান জেলা পরিষদের টোল প্লাজা দশ বছরেরও বেশি সময় ধরে টেন্ডার ছাড়াই চলছে বলে জানা গেছে । এই নিয়ে গোবর্ধন মণ্ডল ও অন্যান্য গ্রামবাসীর অভিযোগের পরে একদিকে যেমন প্রশাসনিক স্তরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে, তেমনই অন্যদিকে বাড়তে থাকে বিতর্ক । তাদের দাবি, সরকারি নিয়ম মেনে টেন্ডারের মাধ্যমে টোল প্লাজা চালানোর ব্যবস্থা হোক। কারণ এই সরকারি এই টোল প্লাজা থেকে যে পরিমাণ আদায় করা হচ্ছে তা সরকারি কোষাগারে জমা পড়ছে না। এতে সরকারকে ব্যাপক রাজস্ব ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে।


পরিসংখ্যান দেখলে পরিষ্কার হয়ে যাবে যে, যায়, এই ১০ বছরের বেশি সময়ে পশ্চিম বর্ধমান জেলা পরিষদ কোটি কোটি রাজস্বের ক্ষতির মুখে পড়েছে। এই রাজস্ব বাবদ আদায় হওয়া এই সময়ের মধ্যে অর্থ দিয়ে জেলা পরিষদ গ্রামীণ এলাকায় বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করতে পারতো। স্বাভাবিক ভাবেই সেই কাজ কিছুটা হলেও ব্যহত হচ্ছে বলে প্রশাসনিক সূত্রে খবর।
একটি আরটিআইয়ের মাধ্যমে যে তথ্য পাওয়া গেছে, তাতে জানা এই টোল প্লাজাটি ২০১৩ সালের ২৬ নভেম্বর থেকে ২০১৪ সালের ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত রাজ এন্টারপ্রাইজ টেন্ডার করে পেয়েছিল। তখন বার্ষিক ২২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা দিয়ে এই টেন্ডার দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারপর ১০ বছর পেরিয়ে গেলেও এই টোল প্লাজার জন্য নতুন করে টেন্ডার বা দরপত্র করা হয়নি।


পশ্চিম বর্ধমান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বিশ্বনাথ বাউরি বলেন, পুরনো বর্ধমান জেলা ভেঙে পশ্চিম বর্ধমান জেলা গঠিত হয়েছে। তখন অনেক সম্পত্তি হস্তান্তর করা যায়নি। এর জন্য কিছু আইনি বাধা রয়েছে। এই কারণে ঐ টোল প্লাজা টেন্ডার করা যাচ্ছে না। ধীরে ধীরে দূর হচ্ছে সেইসব আইনি বাধা। খুব শীঘ্রই ঐ টোল প্লাজার নতুন করে টেন্ডার করা হবে। তার প্রক্রিয়া চলছে।
এই প্রসঙ্গে পশ্চিম বর্ধমান জেলা পরিষদের উপদেষ্টা ভি শিবদাসন ওরফে দাসু বলেন, টেন্ডার ছাড়াই কেন ঐ টোল প্লাজা চালানো হচ্ছে তাহলে কেন এমন হচ্ছে তার জানতে চাওয়া হবে। বিষয়টি একেবারেই প্রশাসনিক। বিষয়টি বোর্ড সভায় তোলা হবে ও আলোচনা করে সমস্যার সমাধান করা হবে ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *