ASANSOL

শিল্পতালুকের কারখানা মালিকদের কড়া বার্তা মেয়রের, দিতে হবে জরিমানা বা অবৈধ নির্মাণ ভেঙে ফেল

সবমিলিয়ে ৫০০ কোটি টাকার নোটিশ আসানসোল পুরনিগমের

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ* আসানসোল পুরনিগমের জামুড়িয়া ও রানিগঞ্জ বোরোর অধীন শিল্প তালুক এলাকায় অবৈধ নির্মাণ করেছেন বলে একাধিক কারখানার মালিকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরেই উঠছে। তাদেরকে সেই নির্মাণের জন্য জরিমানা দিতে বা অবৈধ নির্মাণ ভেঙে দেওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই আসানসোল পুরনিগমের তরফে নোটিশ জারি করা হয়েছে।
প্রসঙ্গতঃ, কয়েক মাস আগে আসানসোল পুরনিগমের প্রাক্তন মেয়র বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তেওয়ারিও এই দুই শিল্প তালুকে বেআইনি বা অবৈধ নির্মাণ নিয়ে সরব হয়েছিলেন। পাশাপাশি তিনি এই অবৈধ নির্মাণ নিয়ে আসানসোল পুরনিগমের সদিচ্ছা ও পদক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন।
টানা উৎসবের মরসুম শেষ হওয়ার পরেই, এবার আসানসোল পুরনিগম কতৃপক্ষ শিল্প তালুকে বেআইনি বা অবৈধ নির্মাণ ভাঙতে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।


এদিকে, রানিগঞ্জ ও জামুড়িয়ায় শিল্প তালুকে বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান বা কারখানার মালিকদের এক প্রতিনিধিরা বুধবার আসানসোল পুরনিগমে এসে মেয়র বিধান উপাধ্যায়ের সাথে দেখা করেন। তারা আলোচনায় বসে এই বিষয়ে কিছুটা নমনীয় হওয়ার জন্য মেয়রকে অনুরোধ করেন। তবে মেয়র তাদের স্পষ্ট জানিয়ে দেন, এই ব্যাপারে কোনো ধরনের নমনীয়তা দেখানো হবে না। শিল্পপতিদের উদ্দেশ্যে মেয়র বলেন, তাদেরই উচিত অবৈধ নির্মাণের যে  জরিমানা ধার্য করা হয়েছে তা দেওয়া বা অবৈধ নির্মাণ ভেঙে ফেলা। এ ছাড়া আর কোনো বিকল্প রাস্তা নেই। মেয়র স্পষ্টভাবে বলেন, মানুষের জন্য শিল্প স্থাপন ও বিনিয়োগ করা উচিত। তবে তা নিয়ম মেনেই করাটাই বাঞ্ছনীয়। কেউ তাদেরকে অবৈধ নির্মাণের অনুমতি দেয়নি। তাই তাদের উচিত আসানসোল পুরনিগমের নিয়মানুযায়ী জরিমানা পরিশোধ করা অথবা অবৈধ নির্মাণ ভেঙে ফেলা।


       প্রসঙ্গতঃ, আসানসোল পুরনিগমের রানিগঞ্জ ও জামুড়িয়া শিল্প তালুক এলাকায় অবৈধ নির্মাণের কারণে বিভিন্ন কারখানাকে ৫০০ কোটি টাকারও বেশি জরিমানা দেওয়ার নোটিশ দেওয়া হয়েছে।  কারণ বিভিন্ন কারখানা নির্ধারিত বৈধ প্ল্যান বা নকশা ছাড়াও নির্মাণ করেছে। যে কারণে ঐসব এলাকায় জলনিকাশী ব্যবস্থা সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হয়েছে। সাধারণ মানুষেরাও ঐ অবৈধ নির্মাণের কারণে সমস্যায় পড়েছেন। যা নিয়ে তারা একাধিকবার কারখানা কতৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিক্ষোভও করেছেন।
এখন দেখার মেয়রের এই হুঁশিয়ারীর পরে কারখানার মালিক তথা শিল্পপতিরা কোন পথে হাঁটেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *