বেতন বৃদ্ধির দাবিতে আবারও আসানসোল পুরনিগমে বিক্ষোভ সাফাই কর্মীদের, আশ্বাস মেয়রের
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ* আবারও নিজেদের বেতন বৃদ্ধির দাবিতে বৃহস্পতিবার সকালে আসানসোল পুরনিগমের স্যানিটারি বিভাগের সাফাই কর্মীরা পুরভবনে বিক্ষোভ দেখালেন। তারা পুরভবনের মুল গেটের সামনের অংশ ঘেরাও করে এই বিক্ষোভ দেখান। তারা মেয়র বিধান উপাধ্যায়ের কাছে তাদের বেতন বৃদ্ধির দাবি জানান। এদিন বিপুল সংখ্যায় স্যানিটারি বিভাগের সাফাই কর্মীরা পুরনিগমে আসেন। তারা মেয়রকে অনুরোধ করেন যে, এই মূল্য বৃদ্ধির বাজারে তাদেরকে যে বেতন দেওয়া হয় তা দিয়ে বেঁচে থাকা কঠিন। তাই আমরা আমাদের বেতন বাড়ানোর দাবি করছি।
মেয়র পুরভবনের বাইরে গেটের সামনে এসে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলে পুরনিগমের পক্ষ থেকে যা করা সম্ভব হবে বলে আশ্বস্ত করেন। মেয়র তাদেরকে বলেন, আগামী ২৮ নভেম্বর তাদের এক প্রতিনিধিদলের সঙ্গে একটি বৈঠক করবেন বলে জানান। সেই বৈঠকে পুরনিগমের সাফাই বিভাগের অন্যান্য আধিকারিকরাও উপস্থিত থাকবেন।
পরে মেয়র বলেন, আমি কাউকে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিতে চাইনা। আগামী ২৮ নভেম্বর স্যানিটারি বিভাগের সাফাই কর্মীদের সাথে নিজে কথা বলবো। তারপর পুরনিগমের পক্ষে যতটুকু যা করা সম্ভব তা করা হবে।
এবার বেতন বৃদ্ধির দাবি আসানসোল পুরনিগমের স্ট্রিট লাইট ম্যানেজমেন্ট কর্মীদের
আসানসোল পুরনিগমের বিভিন্ন এলাকার স্ট্রিট লাইট ম্যানেজমেন্টের সাথে যুক্ত কর্মচারীরাও এবার বেতন বৃদ্ধির দাবি জানালেন। বৃহস্পতিবার এই কর্মীরা আসানসোল পুরনিগমে আসেন ও মেয়র বিধান উপাধ্যায়ের সাথে দেখা করেন। তারা মেয়রের কাছে নিজেদের বেতন বৃদ্ধি ও প্রভিডেন্ট ফান্ড নিয়ে যে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন তা নিয়ে তাঁর কাছে আবেদন করেন।
এই বিষয়ে রাস্তার আলো ব্যবস্থা বা স্ট্রিট লাইট ম্যানেজমেন্টের কর্মী শ্যামল মন্ডল বলেন, এদিন আমরা মেয়র বিধান উপাধ্যায়ের সাথে দেখা করে বেতন বাড়ানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছিল। এর সাথে মেয়রকে আমাদের পিএফ বা প্রভিডেন্ট ফান্ডেট সমস্যা সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে। শ্যামল মন্ডল আরো বলেন, মেয়র আমাদেরকে বলেছেন, এবারে টেন্ডার হয়েছে। এখন আর কিছু করার নেই। পরে নতুন করে টেন্ডার হলে এর সমাধান হতে পারে বলে মেয়র আশ্বাস দিয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, স্ট্রিট লাইট ম্যানেজমেন্টের সাথে জড়িত কর্মচারীদের বেতন অন্তত ১৫ হাজার টাকা হওয়া উচিত। কারণ আজকের মুদ্রাস্ফীতির বাজারে এর চেয়ে কম বেতনে জীবনযাপন করা কঠিন।
মেয়র পরে বলেন, গোটা বিষয়টি পুরনিগমের তরফে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।