আসানসোলের চিকিৎসক পকসো আইনে গ্রেফতার, চেম্বারে স্কুল পড়ুয়াকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ চিকিৎসার সময় নিজের চেম্বারে অষ্টম শ্রেণির এক স্কুল পড়ুয়াকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে গ্রেফতার হলেন আসানসোলের পরিচিত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বা কার্ডিওলজিস্ট ডাঃ রমন রাজ। ঘটনাটি ঘটেছে গত ১৫ নভেম্বর।
স্কুল পড়ুয়ার পরিবারের লিখিত নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার রাতে আসানসোল মহিলা পুলিশ ঐ চিকিৎসককে গ্রেফতার করে। তার বিরুদ্ধে আসানসোল মহিলা থানার পুলিশ বিএনএস বা ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৬৪(২) (সি), ৬৪/২/এফ, ৬৫(১) ও পকসো আইনের ৬ নং ধারায় একটি মামলায় করেছে।
বৃহস্পতিবার সকালে বছর ১৪ র ঐ স্কুল পড়ুয়াকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসে আসানসোল মহিলা থানার পুলিশ। একই সঙ্গে এদিন আসানসোলের
এদিন পুলিশ ধৃত চিকিৎসক ডাঃ রমন রাজকে আসানসোল আদালতের পকসো কোর্টে পেশ করে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে। পকসো কোর্টের বিচারক ছুটিতে থাকায় এই মামলার শুনানি হয় পকসো কোর্টের দায়িত্বে থাকা এডিজে (২) তানিয়া ঘোষের এজলাসে। সওয়াল-জবাব শেষে আদালতের বিচারক চিকিৎসকের জামিন নাকচ করে একদিনের পুলিশ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
নামি চিকিৎসকের বিরুদ্ধে এই ধরনের একটি অভিযোগ উঠায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে আসানসোল শিল্পাঞ্চল জুড়ে। শোরগোল পড়ে যায় চিকিৎসক মহলেও।
জানা গেছে, আসানসোলের বাসিন্দা ঐ নাবালিকা আসানসোলের এসবি গরাই রোডের একটি নামী গালস হাইস্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে।
গত ১৫ নভেম্বর ঐ স্কুল পড়ুয়া আসানসোলের সেনরেল রোডের ওয়েষ্ট আপকার গার্ডেনে ডাঃ রমন রাজের চেম্বারে চিকিৎসা করাতে যায়। তখনই ঐ চিকিৎসক তার সঙ্গে যৌন নির্যাতন করে বলে অভিযোগ। পরে সে গোটা ঘটনার কথা বাড়িতে জানায়। স্কুল কতৃপক্ষকে গোটা বিষয়টি জানানো হয়। জানা গেছে, পরিবারের পাশাপাশি স্কুলের তরফেও আলাদা আলাদা করে মহিলা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।
এদিন এই প্রসঙ্গে আসানসোল আদালতের পকসো কোর্টের সরকারি আইনজীবী বা পিপি মিতা মজুমদার বলেন, চিকিৎসা করার সময় অভিযুক্ত চিকিৎসক ঐ স্কুল পড়ুয়ার সঙ্গে আপত্তিকর আচরণ করে।
নির্যাতিতা বিষয়টি তার পরিবারের সদস্যদের জানান। এরপর পরিবারের লোকজন অভিযোগ দায়ের করেন। এরপরে আসানসোল মহিলা থানার পুলিশ অভিযুক্ত চিকিৎসককে গ্রেফতার করে। তিনি আরো বলেন, পুলিশের তরফে ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে বিচারকের কাছে আবেদন করা হয়েছিলো। বিচারক তার জামিন নাকচ করে ১ দিনের পুলিশ রিমান্ডের নির্দেশ দেন।
তবে ধৃত চিকিৎসক তার বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগ নিয়ে এদিন আসানসোল আদালত থেকে বেরোনোর সময় কোন মন্তব্য করতে চাননি।