কয়লাখনির বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল গোটা গ্রাম, ভেঙে পড়লো বাড়ি, প্রতিবাদে বাইপাস অবরোধ করে বিক্ষোভ
বেঙ্গল মিরর, চরণ মুখার্জী, রানীগঞ্জ : জোরালো বিস্ফোরণে আবারো কেঁপে উঠল গোটা গ্রাম, আর এই বিস্ফোরণের জেরে ছিটকে আসা পাথরে ভেঙে পড়লো গৃহস্থের বাড়ি, অল্পের জন্য রক্ষা পেল বাড়ির মধ্যে থাকা বয়স্ক মহিলা। শনিবার বিকেলে ঘটা এই ঘটনার প্রতিবাদে বাইপাস রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালো এলাকাবাসীদরা, এখনো চলছে এই বিক্ষোভ। ঘটনা প্রসঙ্গে জানা যায় গত কয়েকদিন আগেই শাসকদলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করে পুনরায় চালু হয় রানীগঞ্জের নারায়নকুড়ি ওসিপি খোলা মুখ খনি, কুনুস্তোড়িয়া এরিয়ার অন্তর্গত নারায়নকুড়ি ওসিপি খোলা মুখ খনিতে পূর্বেই খনির মধ্যেই এক দফায় খনির অভ্যন্তরে কয়লা কুড়াতে গিয়ে চাপা পড়ে মৃত্যু হয় কয়েকজনের। পরবর্তীতে ব্যাপক উত্তেজনার পর কোনক্রমে স্বাভাবিক হয় কয়লা খনি।
পরে উত্তোলনের কাজ শুরু হয় তবে এরই মাঝে এক দফায় কয়লা খনিতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের জেরে কেঁপে ওঠে নারাণকুড়ি ওসিপি সংলগ্ন এগারা গ্রাম পঞ্চায়েতের বেশ কয়েকটি পাড়ার ঘরবাড়ি। সে সময় নারানকুড়ি গ্রামের ওই অংশে ছয় সাতটি বাড়িতে বিস্ফোরণের ঘটনায় পাথর আছড়ে পড়ে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয় ঘরবাড়ি, এরপর দীর্ঘ বিক্ষোভ আন্দোলন চলে। সে সময় কয়লা খনির মধ্যে কয়লা উত্তোলন করা বিভিন্ন যানবাহনে ভাঙচুর চালায় বিক্ষোভকারীরা। এরপর থেকেই দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকে ওই খোলা মুখ খনি। এবার দিন দশেক আগে এই কয়লা খনিকে পুনরায় চালু করার জন্য গ্রামবাসীদের কয়েকজনকে নিয়ে বৈঠক করে কয়লা খনির কয়লা উত্তোলনের কাজ আবারও শুরু করে, খোলা মুখ খনি কর্তৃপক্ষ, গ্রামবাসীদের দাবি যে সেসময় প্রধান সহ অন্য সকল সদস্যদের কয়লা উত্তোলনের সময় মৃদু বিস্ফোরণ করে কয়লা উত্তোলন করা হবে বলেই জানান তারা। ত
বে সে কথা আর রাখা হলো কই বলেই দাবি করেন পঞ্চায়েতের প্রধান থেকে শুরু করে এলাকার সাধারণ মানুষ। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ এদিন বিকেল প্রায় সাড়ে চারটে নাগাদ হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হলে কয়লা খনির অভ্যন্তর থেকে পাথর ছিটকে এসে পড়ে শিং পাড়ার বেশকিছু ঘরবাড়িতে, এরই মধ্যে এক বাড়ির চালাই গিয়ে আছড়ে পড়ে খনির পাথর। তবে তার আগে গাছের মধ্যে থাকা নারকেল কে ছিন্নভিন্ন করে দিয়ে আছড়ে পড়ে পাথরটি। যদিও সে সময় বাড়ির মধ্যে থাকা এক বয়স্ক মহিলা সেই শব্দ পেয়ে কোনক্রমে দ্রুত সরে গিয়ে রক্ষা পায়। আর এই ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই ক্ষোভে আছড়ে পড়েন এলাকার বাসিন্দারা। সকলের এখন একটাই দাবি এরূপভাবে কয়লা উত্তোলন করা যাবে না। তাদের অন্যত্র স্থানান্তর করে, পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করার পরই খনি কর্তৃপক্ষ কয়লা উত্তোলন করবেন, এই দাবিতে এখনো তারা বিক্ষোভ জারি রেখেছে। এদিকে এই ঘটনার সময়ে বেশ কিছু ক্ষুব্ধ গ্রামবাসী কয়লা খনির মধ্যে গিয়ে কয়েকটি কয়লা উত্তোলনকারী যানবাহনে ভাঙচুর চালায় বলেই অভিযোগ, যদিও পুলিশ ও খনি নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তা রক্ষীরা ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীদের সরিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। এ মুহূর্তে উত্তেজনা জারি রয়েছে এলাকায় যে কোন রূপ অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মোতায়েন করা হয়েছে ব্যাপক পুলিশ বাহিনী।