আসানসোল পুরনিগমের একাউন্টে ১ মাসের মধ্যে হাতিয়ে নেওয়া ৪০ লক্ষ টাকা ফিরলো
সাইবার থানার পুলিশের তদন্ত ও ব্যাঙ্কের তৎপরতা
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায়, দেব ভট্টাচার্য ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ ১ মাসের মধ্যেই জালিয়াতির মাধ্যমে হাতিয়ে নেওয়া ৪০ লক্ষ টাকা ফিরলো আসানসোল পুরনিগমের একাউন্টে। আসানসোল সাইবার থানা ও ব্যাঙ্কের তৎপরতায় মঙ্গলবার পুরনিগমের একাউন্টে ঐ টাকা ফিরে এসেছে বলে জানিয়েছেন আসানসোল পুরনিগমের আইনী উপদেষ্টা সুদীপ্ত ঘটক। এই ৪০ লক্ষ টাকার মধ্যে ১২ লক্ষ টাকা ঘটনা জানাজানি হওয়ার পরে আসানসোলের ব্যাঙ্ক কতৃপক্ষ মধ্যপ্রদেশের একটি ব্যাঙ্কে থেকে লেনদেন হওয়ার আগেই আটকে দেয়। কিন্তু বাকি ২৮ লক্ষ টাকা অন্য একাউন্টে ট্রান্সফার হয়ে গেছিলো।
প্রসঙ্গতঃ, ২০২২ সালের বাতিল হওয়া চেকে জাল সই করে ও ফোন নম্বর পরিবর্তন সংক্রান্ত একটি ভুয়ো চিঠি ব্যাঙ্কে দিয়ে আসানসোল পুরনিগমের ৪০ লক্ষ টাকা আর্থিক জালিয়াতির মাধ্যমে হাতিয়ে নেওয়া হয়েছিলো। সেই ঘটনার অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নেমে আসানসোলের সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ মধ্যপ্রদেশের (এমপি) আনুপুর থেকে গ্রেফতার করেছিলো মাধব সারোগী ও প্রিয়াংশু সাহু নামে দুজনকে । তাদের মধ্যে মাধবের বাড়ি মধ্যপ্রদেশের অনুপুরে আর প্রিয়াংশুর বাড়ি ছত্রিশগড়ের পেন্দ্রাতে।
আসানসোল সাইবার থানায় গত ৩০ অক্টোবর পুলিশের তরফে বলা হয় আসানসোল পুরনিগমের ফিনান্স অফিসার আহমেদ কমল ফরিদি গোটা বিষয়টি নিয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। সেই অভিযোগে বলা হয়েছিল গত ৫ অক্টোবর থেকে ২০ অক্টোবর পর্যন্ত পুরনিগমের ছুটি ছিল। এর মধ্যে ১৪ অক্টোবর আসানসোল পুরনিগমের একটি ভুয়ো প্যাডে আধিকারিকের স্বাক্ষর জাল করে নতুন একটি মোবাইল নম্বর দিয়ে বলা হয়, এবার থেকে এই নম্বরে যোগাযোগ করতে হবে। এরপরেই ২৯ অক্টোবর ঐ ব্যাংকের ম্যানেজার পুরুষোত্তম কুমার পুরনিগমকে জানান, ২৮ অক্টোবর তাদের অ্যাকাউন্ট থেকে ৪০ লক্ষ টাকা তোলা হয়েছে। পাশাপাশি, ৮০ লক্ষ টাকার একটি চেক জমাও পড়েছিল। সেটি আটকানো হয়েছে। ঐ ৪০ লক্ষ ৫০১ টাকা তোলার সময় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ কিন্তু পুরনিগমের সঙ্গে কোন রকম যোগাযোগ করেনি। ১৪ অক্টোবরের ঐ চিঠির কথা পুরনিগম ২৯ অক্টোবর ব্যাংকের মাধ্যমে জানতে পারে। ততক্ষণে ঐ টাকা মধ্যপ্রদেশেরই আনুপুর শাখার রাষ্ট্রয়ত্ত ব্যাংকের মাধ্যমে দুষ্কৃতিদের একাউন্টে চলে যায়।