আসানসোল জুড়ে জলের বেআইনি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার কাজ শুরু পিএইচইর
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায় / কাজল মিত্র : আসানসোল শিল্পাঞ্চল জুড়ে শুক্রবার থেকে মেন পাইপলাইন থেকে বেআইনি বা অবৈধ পানীয় জলের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার কাজ শুরু করলো রাজ্যের জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তর বা পিএইচই।
এদিন সালানপুর এলাকার কারখানা, হোটেল পেট্রোল পাম্প, গ্যারেজ সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবৈধ পানীয়জলের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে পিএইচইর ইঞ্জিনিয়াররা। সালানপুর থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয় একযোগে এই অভিযান শুরু করা হয়।
এই প্রসঙ্গে পিএইচই অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার সন্দীপ কুন্ডু বলেন, বিভিন্ন জায়গায় অবৈধ পানীয়জলের কানেকশন বিচ্ছিন্ন করা হচ্ছে। এদিন সালানপুর ব্লকের বিভিন্ন কারখানা, পেট্রোল পাম্প সহ বিভিন্ন জায়গায় অবৈধ জলের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার কাজ শুরু হয়েছে। বিচ্ছিন্ন করার পাশাপাশি অবৈধ সংযোগকারীদের জরিমানা করা হবে বলে তিনি জানান।
প্রসঙ্গতঃ, বিজেপির আসানসোল সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক অভিজিৎ রায় দলের তরফে এই বেআইনি পানীয়জলের৷ সংযোগ নিয়ে সরব হয়েছিলেন।
অন্যদিকে, পিএইচই ইঞ্জিনিয়াররা এর পাশাপাশি আসানসোলের জামুড়িয়া ও রানিগঞ্জ এলাকায় অবৈধ পানীয়জলের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার অভিযানে নামেন । শুক্রবার তারা প্রথমে জামুরিয়া এলাকার শ্রীপুর এলাকায় মেন জলের পাইপলাইন থেকে নেওয়া প্রায় ১০টি অবৈধভাবে জলের সংযোগ কেটে দেব। আশ্চর্যের বিষয় যেখানে এই জামুরিয়া এলাকায় পানীয়জলের জন্য বিক্ষোভ দেখানোর মতো ঘটনা ঘটছে, সেখানেই পিএইচইর পাইপলাইন থেকেই পানীয়জল বেআইনি ভাব পাইপ দিয়ে টেনে নেওয়া হচ্ছে। এদিন পিএইচইর চিফ ইঞ্জিনিয়ার তৃণা ভাদুড়ি এক বিশেষ দল নিয়ে জামুরিয়া এলাকায় অভিযান চালানোর পরে রানিগঞ্জের পাঞ্জাবি মোড় ও নিমচা এলাকাতে অবৈধ জলের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে যান ।
এদিন এই দুজায়গাতেই পুলিশের দলকে সঙ্গে নিয়ে তারা এই অভিযান চালান। এরমধ্যে যেমন বেশ কিছু হোটেল, ফুলের বাগান ও গ্যারেজ যেমন রয়েছে, তেমনই বিভিন্ন কারখানাতেও অবৈধভাবে এই জল নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পিএইচইর ইঞ্জিনিয়াররা। জানা গেছে, এবার থেকে এই অভিযান লাগাতার চলবে গোটা আসানসোল শিল্পাঞ্চল জুড়ে।