আসানসোলের জিটি রোডে আবারও পথ দূর্ঘটনা রাস্তা অবরোধ, বিক্ষোভ
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ আসানসোল শহরে মঙ্গলবার সকাল থেকে সন্ধ্যে পর্যন্ত তিনটি পথ দুর্ঘটনা ঘটলো। সর্বশেষ তৃতীয় দূর্ঘটনাটি ঘটে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আসানসোল দক্ষিণ থানার জিটি রোডে উষাগ্রামে। দ্রুত গতিতে আসা একটি সরকারি বাস ( এসবিএসটিসি বা দক্ষিণ বঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থা) একটি টোটোকে ধাক্কা মারে। এই ঘটনায় টোটো চালক আসানসোল দক্ষিণ থানার উষাগ্রামের নিউগুসিকের বাসিন্দা বাদল পাসোয়ান (৩২) গুরুতর জখম হন। তাকে পরে পুলিশ উদ্ধার করে আসানসোল জেলা হাসপাতালে ভর্তি করে। এই ঘটনায় তার একটি পা পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে। এই ঘটনার পরেই ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন এলাকার মানুষেরা। তারা বাসটি আটকে ভাঙচুর করেন। জিটি রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখানো শুরু হয়।
জিটি রোডে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে যায়। তারা আহত টোটো চালকের চিকিৎসা ও পরিবারকে আর্থিক ক্ষতি পূরণ দেওয়ার দাবি করেন। জানা, আহত টোটো চালক পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ছিলেন। ঘটনার খবর পেয়ে আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশের এডিসিপি (ট্রাফিক) প্রদীপ মন্ডল ট্রাফিক গার্ডের পুলিশ নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যান।
প্রসঙ্গতঃ, মঙ্গলবার সকালে আসানসোলে হওয়া আরো দুটি পৃথক পথ দুর্ঘটনায় দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। আর সন্ধ্যায় ঊষাগ্রামে এক টোটো চালক একটি সরকারি বাসের ধাক্কায় গুরুতর আহত হলেন।
জানা গেছে, বাদল পাসোয়ান জিটি রোড দিয়ে টোটো চালিয়ে যাচ্ছিলো। সেই সময় একটি সরকারি বাস সেই টোটোয় ধাক্কা মারে। আসানসোলের উষাগ্রাম এলাকায় জিটি রোডে হওয়া এই ঘটনার পরেই স্থানীয় মানুষদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। দুর্ঘটনার পর জনতা বাস থামিয়ে বিক্ষোভ দেখানো শুরু করেন। স্থানীয় যুবক দীপক পাসোয়ানের অভিযোগ, সরকারি বাসগুলি প্রায়শই দ্রুত গতিতে চলে। যের কারণে এই ধরনের দুর্ঘটনা ঘটছে। তিনি বলেন, সরকারি বাসের চালকেরা সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে না।
এই ঘটনার পরে বিজেপির আসানসোল সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক অভিজিৎ রায় বলেন, আসানসোলের ট্রাফিক ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে। এ ধরনের দুর্ঘটনা রোধে তিনি প্রশাসনের কাছে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপের দাবি জানান।
অন্যদিকে, আসানসোলের বাসিন্দারাও পুলিশ প্রশাসনের কাছে ট্র্যাফিক নিয়ম কঠোরভাবে প্রয়োগ করার এবং বাস চালকদের নিয়ম মেনে বাস চালানো দাবি জানিয়েছেন।
এই ঘটনা ট্রাফিক নিয়ম মেনে চলা এবং নিরাপত্তার প্রতি প্রশাসনের ভূমিকা ও দায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।