পারিবারিক অশান্তির জেরে মাঝরাতে স্বামীকে গলা কেটে খুন, থানায় আত্মসমর্পণ স্ত্রীর
বেঙ্গল মিরর, কাঁকসা ( দূর্গাপুর), রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ পারিবারিক অশান্তির জের। তার জন্য মাঝ রাতে স্বামীকে হাঁসুয়া দিয়ে গলা কেটে খুন করে থানায় আত্মসমর্পণ করলেন স্ত্রী। শুক্রবার মধ্যরাতের এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশের দূর্গাপুরের কাঁকসা থানার রাজবাঁধে। মৃত ব্যক্তির নাম চুনা কোড়া (৫০)। মৃত ব্যক্তি পেশায় ডেকোরেটর কর্মী ছিলেন। শুক্রবার রাত আড়াইটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে বলে প্রাথমিক ভাবে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে । পুলিশ অভিযুক্ত চুনা কোড়ার স্ত্রী অম্বু কোড়াকে গ্রেফতার করেছে।




পুলিশ জানিয়েছে, দূর্গাপুরের কাঁকসার রাজবাঁধের বাসিন্দা চুনা কোড়া সবসময় নেশা করতেন। তা নিয়ে তার সঙ্গে স্ত্রী অম্বু কোড়ার প্রায়ই অশান্তি হতো। শুক্রবার রাতে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় চুনা কোড়া বাড়ি আসে। এরপর মাঝ রাতে স্বামীর সঙ্গে অশান্তি হয় অম্বুর। অশান্তি চরম পর্যায়ে পৌঁছায়। তারপর ঘুমিয়ে যায় চুনা। সেই সময় হাঁসুয়া দিয়ে স্বামীর গলায় কোপ মারে স্ত্রী। সেই কোপে মৃত্যু হয় স্বামীর। শনিবার সকালে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করে স্ত্রী অম্বু সব ঘটনার কথা পুলিশকে জানান। স্বাভাবিক ভাবেই পুলিশ অম্বুর কথা শুনে হতচকিত হয়ে যায়।
এদিকে এই ঘটনার কথা জানাজানি হওয়ার পরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে রাজবাঁধ এলাকায়। প্রতিবেশীরা ঘটনার কথা শুনে চুনার বাড়িতে ভিড় জমান। তড়িঘড়ি কাঁকসা থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনার তদন্ত করতে চুনা কোড়ার বাড়িতে যান এসিপি (কাঁকসা) সুমন কুমার জয়সওয়াল। পুলিশ বাড়ির ভেতর থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় চুনা কোড়ার মৃতদেহ উদ্ধার করে।
পরে এসিপি ( কাঁকসা) বলেন, স্বামী চুনা কোড়ার সঙ্গে তার স্ত্রী অম্বু কোড়ার পারিবারিক অশান্তি বা বিবাদের জন্যই এই খুনের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক তদন্তের পরে মনে হচ্ছে। চুনা কোড়া নেশা করত। স্ত্রীর সঙ্গে তা নিয়ে অশান্তি লেগে থাকতোন। শুক্রবার রাতে ঘুমন্ত স্বামীকে হাঁসুয়া দিয়ে কুপিয়ে খুন করে স্ত্রী। এদিন সকালে সে থানায় আত্মসমর্পণ করে সব ঘটনা জানায়। পরে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনার পিছনে অন্য কোন কিছু রয়েছে কি না তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে এসিপি ( কাঁকসা) জানিয়েছেন। পুলিশ এই ঘটনায় একটি খুনের মামলা করেছে।