রানীগঞ্জের হালদার বাঁধ পুকুর ভরাট করার অভিযোগে চার ব্যক্তি গ্রেফতার
বেঙ্গল মিরর, চরণ মুখার্জি, রানীগঞ্জ : রানীগঞ্জের অষ্টআশি নাম্বার ওয়ার্ডের হালদার বাঁধ পুকুর ভরাট করার অভিযোগে বৃহস্পতিবার হালদার বাঁধ এলাকারই চার ব্যক্তিকে গ্রেফতার করলো পুলিশ। জানা গেছে রানীগঞ্জ থানায় আসানসোল কর্পোরেশনের দুই নম্বর বরো দপ্তরের পক্ষ থেকে একটি পুকুর ভরাটের অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ চার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। যারা গেছে কলা পুকুর ও এই হালদার বাঁধ পুকুরের আশেপাশের অংশে বাড়ির ভাঙ্গাচোরা অংশের সামগ্রী ফেলে পুকুর ভরাট করা হচ্ছে এই অভিযোগ রানীগঞ্জ থানায় করা হয়। আর এই অভিযোগ পাওয়ার পরপরই পুলিশ প্রশাসন তৎপর হয়ে পুকুরের আশেপাশে কারা বাড়ি ভাঙ্গা সামগ্রী জড়ো করছে সেই তথ্য সংগ্রহ করে চার জনকে গ্রেফতার করে।
পরে রানীগঞ্জ থানার পুলিশ ধৃতদের শুক্রবার আসানসোল জেলা আদালতে হাজির করেন। উল্লেখ্য রানিগঞ্জের বিস্তীর্ণ অংশে পুকুর ভরাটের ঘটনা এই প্রথম নয় এর আগেও বেশ কয়েক দফায় বেশ কয়েকটি অংশে পুকুর ভরাটের বিষয় লক্ষ্য করা গেছে। সে সময়ও বেশ কিছু পুকুর ভরাট করা হলেও সেখানে পৌর প্রশাসন তৎপর হয়ে ওই পুকুরগুলিকে ভরাটের প্রক্রিয়া বন্ধ করেছে। তবে কোথাও কোথাও পুকুর ভরাটের বিষয় লক্ষ্য করা গেলেও কোন অজ্ঞাতক কারণে সেখানে পুকুর ছিল কি ছিল না এ সকল বিভিন্ন তথ্য সঠিক না থাকায় রেয়াত পেয়ে যাচ্ছেন অনেক অসাধু জমি কারবারি।
এখন দেখার এই অংশে পুকুর ভরাটের এই প্রক্রিয়া আদৌ চলছিল কিনা আর অন্য সব পুকুর ভরাট যে সকল অংশে হয়েছে বলে বারংবার অভিযোগ উঠেছে সেই সকল এলাকায় পুকুর ভরাট বন্ধ করতে কতটা উদ্যোগ গ্রহণ করে পৌর প্রশাসন। যদিও রানীগঞ্জের বরো দপ্তরের চেয়ারম্যান মোজাম্মেল শাহজাদা জানিয়েছেন যখন ঐ কোন অংশে পুকুর ভরাটের অভিযোগ পাওয়া যায় তখনই দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। আমরা কোন মতেই জলা জমি ভরাট হতে দেব না অভিযোগ আসলেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেই দাবি করেন তিনি। এখন দেখার রানীগঞ্জের বিস্তীর্ণ অংশে পুকুর ভরাটের যে সকল অভিযোগ এসেছে তা খতিয়ে দেখে কতটা ব্যবস্থা গ্রহণ করে প্রশাসন।