West Bardhaman News : ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের পিএইচডি ফেলোশিপ নিয়ে ইউরোপ পাড়ি পশ্চিম বর্ধমানের যুবকের
বেঙ্গল মিরর, রুপনারায়নপুর, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও দেব ভট্টাচার্যঃ পশ্চিম বর্ধমান জেলার সালানপুরের রূপনারায়নপুর ডিএভি স্কুলের প্রাক্তন পড়ুয়া পশ্চিম রাঙ্গামাটিয়ার বাসিন্দা অস্মিত রায় বর্মণ ” এমএসসিএ ” (মেরি কূরি) পিএইচডি ফেলোশিপ পেলেন। অস্মিত ভারত থেকে এবার এক মাত্র পড়ুয়া যে উচ্চতর শিক্ষা ও গবেষনা্র কাজ নিয়ে ইউরোপ পাড়ি দিল।
ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের দেওয়া এই ” এমএসসিএ” র ফেলোশিপ খুবই সম্মানজনক ও পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ ফেলোশিপ। যার মেয়াদ হলো তিন বছরের। এই ফেলোশিপের সামগ্রিক মূল্য হলো ১,৪৪০০০ ইউরো। ভারতীয় মুদ্রায় তা প্রায় ১২, ৯০০০০০ টাকা।
রুপনারায়নপুরের অস্মিত সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক। ” গেট ” ২০২২ এ তার নাম সর্বভারতীয় তালিকায় ৩২ ছিলো। ইসরোর সংস্থা আইআইআরএস দেরাদুন থেকে( ইনসার ) ” ইনফরম্যাট্রিক সিন্থেটিক অ্যাপারচার রেডার রিমোট সেনসিং” এ স্নাকত্তোর ডিগ্রী অর্জন করেছে অস্মিত । ইতালিতে ” পলিটেকনিকো দি মিলানো” র ডিপার্টমেন্ট অফ আর্কিটেকচার, বিল্ট এনভায়রনমেন্ট এন্ড কনস্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে সমগ্র ইউরোপের নব নির্মিত ও পুরনো সেতুগুলির উপগ্রহ মাধ্যমে স্বাস্থ্য পর্যাবেক্ষন করে সেগুলোর অসঙ্গতি বিশ্লেষণ করতেই এই ফেলোশিপ দেওয়া হয়। এই কাজের জন্য অস্মিত সুইডেনে কেটিএইচ রয়্যাল ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজি ও স্টকহোমে যাবে। ইতিমধ্যে গত ১৬ ডিসেম্বর সেখানে অস্মিত পৌঁছে গেছে ও কাজে যোগ দিয়েছে বলে পরিবার সূত্রে জানা গেছে।
ফোনে অস্মিত বলেন, আমার এই কৃতিত্বের বড় দাবিদার হলেন বাবা ও মা। এছাড়াও রয়েছেন সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা। তাদের সাহচর্য না পেলে আমি, আজ এই জায়গায় আসতে পারতাম না। তিনি আরো বলেন, এখানে বাঙালিদের পছন্দের সবকিছু পাওয়া যায়। আলাদা একটা মার্কেটও আছে। বিশ্ব বাংলাও অনেক কিছু এখানে পাওয়া যায় দেখলাম। সত্যি এইসব কিছু দেখে ভালো লাগছে।