আসানসোল সিটি বাসস্ট্যান্ডে কর্মী ও যাত্রীদের বিক্ষোভ, কাঠগড়ায় এমভিআইয়ের আধিকারিকরা
বাংলা – ঝাড়খণ্ড সীমানায় চেকপোস্টে আন্তঃরাজ্য যাত্রী বাস আটকে হয়রানির অভিযোগ
বেঙ্গল মিরর, আসানসো, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও দেব ভট্টাচার্যঃ ( Asansol Latest News ) বাংলা – ঝাড়খন্ড সীমানা রামপুর চেকপোষ্টে রাজ্য সরকারের এমভিআই বা মোটর ভেহিকেলস দপ্তরের আধিকারিক ও কর্মীদের বিরুদ্ধে ইন্টারস্টেট বা আন্তঃরাজ্য যাত্রী বাসে চেকিং বা পরীক্ষার নামে হয়রানির অভিযোগ উঠলো। ঝাড়খণ্ডের রাঁচি থেকে আসা দুর্গাপুরগামী একটি বাসকে ঐ চেকপোস্টে রাস্তায় দাঁড় করিয়ে চেকিংয়ের নামে যাত্রীদের হয়রানি করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ঐ বাসের চালও ও কন্ডাক্টার অভিযোগ করেছেন তাদের মোবাইল ফোন নিয়ে নেওয়া হয়েছে। রবিবার সকালে এই ঘটনাটি ঘটেছে। যাত্রীদের দাবি, তাদের অনুরোধে শেষ পর্যন্ত প্রায় ৪৫ মিনিট পর বাসটি সেখান থেকে ছাড়া হয়। পরে আসানসোলের জিটি রোডের সিটি বাসস্ট্যান্ডে বাসটি এলে বাস যাত্রী থেকে বাস কর্মীরা বিক্ষোভ দেখান। সেই খবর পেয়ে বাসস্ট্যান্ডে আসেন তৃণমূল কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসির নেতা রাজু আলুওয়ালিয়া। তিনি বলেন, এভাবে মাঝ রাস্তায় বাস থামিয়ে চেকিংয়ের নামে যাত্রীদের হয়রানি, বাস কর্মীদের ধাক্কাধাক্কি ও তাদের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়া অন্যায়। এটা সরকার বিরোধী কাজ। আমরা উপযুক্ত জায়গায় সেখানে থাকা এমভিআইয়ের আধিকারিক ও কর্মীদের বিরুদ্ধে তদন্তের দাবী জানিয়েছি।




এই ঘটনার প্রতিবাদে অসানসোলের সিটি বাসস্ট্যান্ডে রাঁচি থেকে দুর্গাপুরগামী ঐ বাসের যাত্রীরা বিক্ষোভ দেখান। বিদ্যুৎ গুপ্ত নামে এক যাত্রী বলেন, আমি আমার পরিবার নিয়ে যাচ্ছিলাম ।আগেও ঐ বাসে গেছি। হঠাৎ একটি আরটিও লেখা গাড়ি বাসের সামনে আসে। সেই গাড়ি থেকে তিনজন নেমে বাসের মধ্যে উঠেন। তারা চেকিংয়ের নামে চালকের থেকে যাবতীয় কাগজপত্র নিয়ে নেন। দুজন বাস কর্মীর মোবাইলও নিয়ে নেওয়া হয়। এমনকি একজনকে থাপ্পড়ও মারেন। তারা বলেন, তারপর বাসটা থানায় নিয়ে যাবেন। যাত্রীরা বলেন, আগে আমাদেরকে গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়া হোক। তারপর আপনাদের যা করার, তা করবেন। এই বাসে শিশু মহিলা প্রবীনরাও ছিলেন। তিনি আরো বলেন, এরপর সবাই মিলে বারবার বলার পরে প্রায় ঘন্টাখানেক পরে বাস ছাড়া হয়। চূড়ান্ত হয়রানি হয়েছে আজ আমাদের বলে, তার ও বাকি যাত্রীদের দাবি।
বাস চালক নেপাল চন্দ্র নায়ক বলেন, আমার লাইসেন্স ও সব কাগজপত্র নিয়ে নিয়েছে ঐ তিনজন। আমার বাসের সামনের দিকে যানজট হওয়ায়, কোনমতে যখন বেরোনোর চেষ্টা করছিলাম ১৯ নং জাতীয় সড়ক ধরে তখনই ওরা বাসটাকে ধরে। চালকের পাশে কন্ডাক্টার ,খালাসি থেকে বাসের যাত্রীরা, এমভিআইয়ের অফিসারদের এই আচরণকে অমানবিক এবং অন্যায় বলে দাবি করেছেন।
পশ্চিম বর্ধমান জেলার আরটিও বা আঞ্চলিক পরিবহন আধিকারিক মৃন্ময় মজুমদার অবশ্য হয়রানির অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, কারোর মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়া হয়নি বা মারধর করা হয়নি। ভিন রাজ্য থেকে আসা বাসে রুটিন চেকিং হচ্ছিল। খোঁজ নিয়ে জেনেছি ঝাড়খন্ড থেকে আসা ঐ বাসের মাথায় প্রচুর পরিমাণে মাল ছিল। সেখানে পরিবহন দপ্তরের আধিকারিকরা কাগজপত্র পরীক্ষা করার জন্য বাসটিকে আটকায়। তিনি আরো বলেন, চালকের কাছে ড্রাইভিং লাইসেন্স থেকে কোন কিছুই আসল ছিল না। সবই জেরক্স ছিলো।