খনি আবাসনে চুরি, তিনটি বাড়ির দরজার তালা ভাঙল
বেঙ্গল মিরর, চরণ মুখার্জী, জামুড়িয়া : দীর্ঘ আড়াই বছর চুরির ঘটনা বন্ধ থাকলেও এবার আবারো নির্জন ঘর লক্ষ্য করে বাড়ির সদস্যদের অনুপস্থিত থাকা আবাসনে শুরু হয়েছে চুরির ঘটনা। মঙ্গলবার এমনই বিষয় লক্ষ্য করা গেছে জামুরিয়া থানার, কেন্দা ফাঁড়ি এলাকার কুনুস্তোড়িয়া খনি আবাসনের পুরনো ব্যাংক পাড়া এলাকায়। চোরের দল শীতের রাতে নির্জনতার সুযোগে যে সকল বাড়ি গুলিতে বাড়ির সদস্যরা অনুপস্থিত ছিল, সে সকল বাড়ি গুলিকেই চিহ্নিত করে সেখানে হামলা চালায়। তবে একটি বাড়ির মধ্যেই চোরের দল চুরির ঘটনা ঘটালেও বাকি তিনটি বাড়িতে বাড়ির সদর দরজার তালা ভাঙলেও সকল বাড়িতে চুরি করতে পারেনা তারা।




জানা গেছে এদিন তারা বিহারে দেশের বাড়ি যাওয়া ফিরোজ হুসেনের বাড়ির সদর দরজার তালা ভেঙে বাড়ির মধ্যে থাকা সমস্ত সামগ্রী লণ্ডভণ্ড করে আলমারির মধ্যে থাকা কিছু সোনার উপর অলংকার ও ছোটদের মাটির ভাড়ে জমানো টাকা নিয়ে চম্পট দেয়। সেখানেই রাম লক্ষণ মণ্ডল, সুরোজ ননিয়া ও এমডি কালাম এর বাড়িতেও তারা তালা ভেঙে চুরির চেষ্টা চালায়। তবে এরই মধ্যে সুরোজ নুনিয়ার বাড়ির দরজা, লোহার পাত দিয়ে তৈরি হওয়ায়, সেই দরজার তালা ভাঙতে গিয়ে, আওয়াজ হওয়ায় এলাকার মানুষজন জেগে উঠলে, চোরের দল দ্রুত ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে গিয়ে, জঙ্গলে গা ঢাকা দেয়। মঙ্গলবার এই চুরির ঘটনা লক্ষ্য করেই হতচকিত হয়ে পড়ে সকলে।
স্থানীয় এলাকার মানুষজনেরা দাবি করেন, পূর্বে প্রায় আড়াই বছর আগে এলাকায় লাগাতার চুরির ঘটনা ঘটতো সে সময়ও চোরের দল পরপর বাড়িতে অনুপস্থিত থাকা সদস্যদের অনুপস্থিতির সুযোগে চুরির ঘটনা ঘটাতো, পরবর্তীতে পুলিশ লাগাতার অভিযান চালিয়ে এলাকায় চুরি সংগঠিত করার অভিযোগে দশ দুষ্কৃতকারী কে গ্রেপ্তার করার পর চুরির ঘটনা বন্ধ হয় এলাকায়। এবার এলাকার মানুষজন আবারো আতঙ্কিত হয়েছে যে আবারও নতুন করে সেই পুরনো চোরের দল কি তাদের সক্রিয়তা বাড়িয়েছে এলাকায় ? চোরেরা কি আবারো নজরদারি চালিয়ে এলাকার মানুষজনের গতিবিধির লক্ষ্য করে নির্জন বাড়ি দেখলেই হামলা চালাচ্ছে তা নিয়েই প্রশ্ন করেছে তারা।
মঙ্গলবার এই চুরির ঘটনার প্রেক্ষিতে কেন্দা ফাঁড়ির পুলিশ এই চুরির ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে সমস্ত ঘটনার তদন্ত শুরু করে। পুলিশ প্রশাসন আশ্বস্ত করে এলাকায় নজরদারি চালিয়ে এলাকাতে যাতে চুরির ঘটনা রোখা যায় তার জন্য তারা ব্যবস্থা নেবেন। তবে তার সাথে তারা এলাকার মানুষজনদের সচেতনও করেন যে যদি কেউ বাড়ির বাইরে গিয়ে থাকে তাদের আগেভাগেই বাড়িতে কাউকে রেখে কিংবা বাড়ি খালি রয়েছে সে বিষয়গুলিকে আশেপাশে জানান দিয়ে যাওয়ার জন্য। এর ফলে চুরির ঘটনা অনেকটাই রোখা সম্ভব হবে, বলেই মনে করছেন তারা, বলেই অনুমান এলাকার বাসিন্দাদের।