ASANSOL

আসানসোল  বইমেলা ” র উদ্বোধন, প্রথাগত ভাবে প্রদীপ জ্বালানো নয়, নতুন প্রজন্মের কবিতা নিয়ে স্মরণিকা

যুব শিল্পী সংসদের পরিচালনায় ৪১তম আসানসোল  বইমেলা

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ ( Asansol Book Fair 2025 ) বেশ কিছু অভিনব ভাবনা ও নতুন আঙ্গিকে বৃহস্পতিবার বিকেলে আসানসোলের পোলো গ্রাউন্ডে উদ্বোধন হলো ৪১ তম আসানসোল বইমেলা। যুব শিল্পী সংসদের পরিচালনা এই বইমেলা আয়োজনে সহযোগিতা করেছে আসানসোল পুরনিগম।
এদিন বিকেলে আসানসোল বইমেলা উদ্বোধনে সেই চিরাচরিত বা প্রথাগত পথে হাঁটেননি উদ্যোক্তারা। মুল মঞ্চে জ্বালানোর জন্য ছিলোনা কোন প্রদীপ। অতিথিদের ঠিক মাঝখানে রাখা হয়েছিলো একটি বিশালাকার বই। তার দু’পাতায় লেখা ” পাঠকের পার্বন হাতে হাতে উদ্বোধন “। শহরের অন্যতম সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী ” যুধবদ্ধ ” র সদস্য ও সদস্যারা উদ্বোধনী সংগীত পরিবেশন করেন। তারই মধ্যে মুল মঞ্চে থাকা বইয়ের পাতায় নিজের মতামত ও সই করে এবারের আসানসোল বইমেলার উদ্বোধন করেন আসানসোল পুরনিগমের চেয়ারম্যান অমরনাথ চট্টোপাধ্যায়। এরপর৷ একে একে সেই বইয়ের পাতায় সই করেন পুরনিগমের ডেপুটি মেয়র অভিজিৎ ঘটক, কবি বিকাশ গায়েন, প্রবীণ দুই সাংবাদিক শিবানী মালখন্ডি, দেবযানী সিনহা সহ অন্যান্যরা। তবে প্রথা মেনে মুল মঞ্চের পাশে যুব শিল্পী সংসদ ও আসানসোল বইমেলার দুটি পতাকা উত্তোলন করা হয়।


তার আগে স্বাগত ভাষনে যুব শিল্পী সংসদের সম্পাদক সৌমেন দাস বলেন, আমরা ভাবিনি ৪১ তম আসানসোল বইমেলা আয়োজন করতে পারবো। আর্থিক সমস্যার পাশাপাশি গোটা বিষয়টিকে একটা জায়গায় নিয়ে যাওয়া কঠিন হয়ে উঠেছিলো। ৪০ বছর ধরে করে আসা আসানসোল বইমেলা আয়োজন করতে পারবো না, এই ভেবে আমাদের খুব খারাপ লাগছিলো। তাই আমরা সবার সঙ্গে কথা বলি ও তাদের সহযোগিতা চাই। তারা সবাই আমাদের পাশে দাঁড়ান। তাই আজ মঞ্চে দাঁড়িয়ে বলতে অসুবিধা নেই যে,  শুধু এই বছর নয়, এই আসানসোল বইমেলাকে আমরা ৫০ বছরে নিয়ে যাবো।


উদ্বোধনের মতো বইমেলার স্মারক পত্রিকা বা স্মরণিকার এবারে অভিনবত্ব রয়েছে। এই স্মরণিকার প্রচ্ছদ তৈরি করা হয়েছে ৪০ তম আসানসোল বইমেলায় ( ২০২৪) অঙ্কন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থানাধিকারী কৃথিকেশ ঘোষের ছবি দিয়ে। এই স্মরণিকায় ৪০ বছরের কম বয়সী নতুন প্রজন্মের বাছাই করা ১৫ জন কবির কবিতা রয়েছে। এদিনের অনুষ্ঠানে ক্ষুদে শিল্পীকে নিয়ে স্মরণিকার উদ্বোধন করেন ডেপুটি মেয়র অভিজিৎ ঘটক।


মেলার উদ্বোধক পুর চেয়ারম্যান বলেন, আসানসোল বইমেলার আকর্ষণ ও ঐতিহ্য আজও একইরকম আছে। বই না পড়লে মানব জাতি এগিয়ে যেতে পারবে না। বই একজন মানুষকে শিক্ষার আলোতে আলোকিত করে। তাই এই বইমেলাকে বাঁচিয়ে রাখতে উদ্যোক্তাদের পাশে আমাদের সবাইকে থাকতে হবে।
শুক্রবার দুপুর দুটো থেকে বইপ্রেমীদের জন্য আসানসোল বইমেলা খুলে যাবে। ১০ দিনের এই বইমেলা আগামী ১৯ জানুয়ারি জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে। জানানো হয়েছে, ৪৫ টি পাবলিশার্স ও প্রকাশকদের স্টলের পাশাপাশি ২২ টি লিটল ম্যাগাজিন ও ২০ ফুড স্টল থাকবে। প্রতিদিনই বইমেলায় নানা ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *