ASANSOLBARABANI-SALANPUR-CHITTARANJAN

সাইবার প্রতারণার ৪ লক্ষাধিক টাকা ফিরে পেলেন এক ব্যক্তি

বেঙ্গল মিরর, বারাবনি, কাজল মিত্র ও রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ* ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সাইবার প্রতারণার মাধ্যমে এক ব্যক্তির কাছ থেকে প্রায় সাড়ে ৫ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার একটি অভিযোগ জমা পড়েছিল আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের বারাবনি থানায়। সেই অভিযোগের তদন্তে নেমে বারাবনি থানার সাইবার ক্রাইম বিভাগ হাতিয়ে নেওয়া টাকার মধ্যে অনেকটাই উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। এই টাকা উদ্ধার সাইবার প্রতারণার মামলায় বারাবনি থানার পুলিশের বড় সাফল্য বলা যেতেই পারে।


জানা গেছে, বারাবনি থানা এলাকার বাসিন্দা মনসা রুজ নামে ঐ ব্যক্তির কাছ থেকে হাতিয়ে নেওয়া৫ লক্ষ ৪০ হাজার টাকার মধ্যে ৪ লক্ষ ১২ হাজার টাকা ফিরিয়ে দেওয়া হয়। ঐ ব্যক্তির হাতে সেই টাকার চেক তুলে দেন বারাবনি থানা অফিসার ইনচার্জ দিব্যেন্দু মুখোপাধ্যায় । 
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মনসা রুজ নামে ঐ ব্যক্তির মোবাইলে ফোন করে বিমা করিয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়। সেই নাম করে তার মোবাইলে একটি ওটিপি পাঠানো হয়েছিলো। তারপর ঐ ওটিপি দেওয়ার পরেই তার ব্যাঙ্ক একাউন্ট থেকে ৫ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা গায়েব হয়ে যায়।


প্রসঙ্গতঃ, প্রলোভন দেখিয়ে বা ফাঁদে ফেলে নানা ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করানোর নামে লাভজনক ফেরতের লোভ দেখিয়ে এইভাবে সাইবার প্রতারণা বেড়েই চলেছে। বিভিন্ন সংস্থার নামে লিঙ্ক পাঠানো হচ্ছে সোশাল মিডিয়া হোয়াটসঅ্যাপ থেকে শুরু করে ইনস্টাগ্রামে। আর তার মাধ্যমেই বড় অঙ্কের টাকা গায়েব করা হচ্ছে সাধারণ মানুষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে।


বারাবনি থানা ওসি দিব্যেন্দু মুখোপাধ্যায় বলেন,প্রত্যেক মাসেই কোন না কোন ভাবে সাইবার  প্রতারণার শিকার হচ্ছেন বহু মানুষ। যত তাড়াতাড়ি অভিযোগ দায়ের হবে সাইবার ক্রাইম বিভাগে, তত তাড়াতাড়ি টাকা উদ্ধার করা যাবে। তা না হলে দেরি হবে।
টাকা ফিরে পাওয়া ঐ ব্যক্তি বলেন, গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে আমার মোবাইলে একটি ফোন আসে বিমা করানোর নামে। তারপর ফোনে মোবাইলে আসা একটি ওটিপির নম্বর চাওয়া হয়। আমি তিনি ভুলবশত ঐ নম্বর ফোন করা ঐ ব্যক্তিকে দিয়ে ফেলি। তারপরেই আমার একাউন্টে থেকে ৫ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা উধাও হয়ে যায়।  এরপর ঐ ব্যক্তি গত সেপ্টেম্বর মাসে বারাবনি থানার সাইবার ক্রাইম বিভাগে অভিযোগ করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বারাবনি থানার সাইবার বিভাগের অফিসার সুদীপ মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে পুলিশ তদন্তে নামে। তারপরেই উদ্ধার করা হয় ৪ লক্ষ ১২ হাজার টাকা ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *