আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশের হানা , গাঁজা বাজেয়াপ্ত, মহিলা সহ ধৃত দুই
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ ( Asansol News Today ) ভিন জেলার বাস থেকে নেমে গাঁজা পাচার করতে গিয়ে হাতেনাতে পাকড়াও হলো দুজন। ধৃতদের একজন মহিলা আছেন। মঙ্গলবার রাতে আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ ১৯ নং জাতীয় সড়কের কালিপাহাড়ি মোড়ের কাছ থেকে এই দুজনকে গ্রেফতার করেছে। তাদের কাছ থেকে পাওয়া দুটি ব্যাগে পাওয়া গেছে ২০ কেজির মতো গাঁজা। ধৃতরা হলো বছর ৫০ র আনন্দ লেট ও বছর ৪২ র গীতা কর্মকার। তারা বীরভূম জেলার রামপুরহাটের বাসিন্দা। আসানসোল দক্ষিণ থানার ইন্সপেক্টর ইনচার্জ কৌশিক কুন্ডুর নেতৃত্বে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে এই অভিযান চালানো হয়। ধৃতদের বিরুদ্ধে এনডিপিএস ( নারকোটিক ড্রাগস এ্যান্ড সাইকোট্রপিক সাবস্ট্যান্সেড এ্যাক্ট) আইনের ২০ (বি), (২), (সি) ও ২০ নং ধারায় মামলা করা হয়। বুধবার সকালে ধৃত দুজনকে আসানসোল আদালতের এনডিপিএস কোর্টে পেশ করা হয়। মামলার তদন্তকারী অফিসার বা আইও সুখদেব লক্ষ্মণ ধৃতদেরকে ৭ দিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদন করেন। বিচারক সেই আবেদনের ভিত্তিতে ধৃতদের জামিন নাকচ করে ৪ দিনের পুলিশ রিমান্ডের নির্দেশ দেন।




পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ আসানসোল দক্ষিণ থানার ইন্সপেক্টর ইনচার্জ কৌশিক কুন্ডু গোপন সূত্রে খবর পান যে, এক মহিলা ও এক ব্যক্তি ১৯ নং জাতীয় সড়কে কালিপাহাড়ি মোড়ে ভিন জেলার একটি বাস থেকে নেমেছে। তাদের কাছে দুটি ব্যাগ আছে। তাদের আচরণ সন্দেহজনক ও তারা কালিপাহাড়ি মোড় থেকে বাঘবন্দি গ্রামের দিকে যাচ্ছে। এরপর ইন্সপেক্টর ইনচার্জের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঐ এলাকায় গিয়ে অতর্কিতে হানা দিয়ে আনন্দ লেট ও গীতা কর্মকারকে আটক করে। তল্লাশিতে তাদের কাছে থাকা দুটি ব্যাগ থেকে পাওয়া যায় ২০ কেজির মতো গাঁজা। এরপরই তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, ধৃতদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা করা হয়েছে। মনে করা হচ্ছে তারা গাঁজা পাচারকারী চক্রের সদস্য। তাদেরকে রিমান্ডে নিয়ে জেরা করে জানার চেষ্টা করা হবে, এর পেছনে কে বা কারা আছে।