DURGAPUR

দূর্গাপুরে এবার দলছুট দুই হাতি , আতঙ্কে বাসিন্দারা, খুঁজতে তৎপর বন দপ্তর, মাইকিং

বেঙ্গল মিরর, দূর্গাপুর, রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ তখন সবে মাত্র ঘড়ির কাঁটা সাড়ে পাঁচটা ছুঁইছুঁই। ঘুম ভেঙেছে পশ্চিম বর্ধমান জেলার দূর্গাপুরের কাঁকসার গোপালপুর গ্রামের অনেকেরই। শীতের ভোরে আচমকাই ভীষণ শব্দ। জানালা দিয়ে মুখ বার করতেই চক্ষু চড়কগাছ। সামনেই দুই হাতি। শুঁড় উঁচিয়ে এক হাতি একেবারে ঘরের উঠোনে।এরপরেই আর একটা হাতি বাড়ির পাশ দিয়েই চলে গেল। কোথাও কিছু নেই দেখে পুঁই শাকের মাচা ভেঙে পুঁই শাক খেয়ে নেয়। বৃহস্পতিবার সাত সকালে ঘুম ভেঙে চোখের সামনে দেখার আতঙ্ক কাটাতে পারছেন না মালদা সোরেন। এই অবস্থা মঙ্গল হাঁসদারও। তিনিও দেখেছেন দুই হাতিকে। মাঠের মধ্যে দিয়ে হাতি দুটি মালদার বাড়ি থেকে বেরিয়ে সোজা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের পাশ দিয়ে মুনেরকোঁদা ও ধোয়াডাঙার অদূরে জঙ্গলে চলে যায়। হাতি আসার খবর দেওয়া হয় বন দপ্তরে। সেই খবর পেয়ে গোপালপুর বিট অফিসের বিট অফিসার সহ বন দপ্তরের কর্মীরা চলে আসেন। শুরু হয় মাইকিং। সঙ্গে চলে তল্লাশি।


হাতি দেখার পরে আতঙ্কে কাঁপছেন মুনেরকুঁদা ও ধোঁয়াডাঙা গ্রাম। বাসিন্দারা বলছেন, আতঙ্কে আছি আমরা। কখন হাতিগুলো বেরিয়ে এসে কি করবে তা তো ত জানা নেই । আদিবাসী গ্রামগুলির বাসিন্দারা বলছেন যতক্ষণ না পর্যন্ত হাতিরা এখান থেকে ওদের নিজেদের এলাকায় ফিরে যাচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত আতঙ্ক যাবে না।
বন দপ্তরের দূর্গাপুরের কাঁকসা থানার গোপালপুর বিট অফিসের বিট অফিসার কিশলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, দুটি হাতি এসেছে এই এলাকায়। তবে তাদেরকে চিহ্নিত এখনো করা যায় নি। ঠিক কোথায় তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। হাতি কারোর কোন ক্ষতি করেনি। হতাহত ও সম্পত্তিরও কোন কিছু হয় নি । দুটি হাতি এই মুহুর্তে কোথায় রয়েছে তা জানা নেই বন দপ্তরের। তবে বন দপ্তরের কর্মীরা তল্লাশি করে এখন জানার চেষ্টা করছে হাতি দুটি ঠিক কোথায় রয়েছে ।


জানা গেছে, হাতি দুটি বুধবার মধ্য রাতে দামোদর নদী পার হয়ে রাজবাঁধ হয়ে গোপালপুরের জঙ্গলে এসে পড়ে। সেই খবর পেয়েই বন দপ্তর তৎপর হয়ে উঠে। বন দপ্তরের আধিকারিকেরা ও কর্মীরা চলে আসেন এলাকায়। শুরু হয় হাতি দুটিকে খুঁজে বার করার কাজ।স্থানীয় বাসিন্দারা মনে করছেন, গোপালপুরের গভীর জঙ্গলে হাতি দুটি এখন রয়েছে।এই হাতি দুটি দল ছুট হয়ে গত নভেম্বর মাসে বলে বন দপ্তর সূত্রে জানা গেছে।
গোপালপুর বিট অফিসের বিট অফিসার কিশলয় মুখোপাধ্যায় আরো বলেন,  হাতি দুটি এলাকায় থাকায় মাইকিং করে সাবধান করা হচ্ছে। কারন অনেকেই জঙ্গলে যান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *