ASANSOL

নদী গুলির রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ১০০ টাকা লিটার কিনতে হবে পানীয় জল !

বেঙ্গল মিরর, চরণ মুখার্জী, রানীগঞ্জ : কিছুদিনের মধ্যেই এমন একটা সময় আসবে যখন এই পানীয় জল কুড়ি টাকা লিটার এর পরিবর্তে ১০০ টাকা লিটার কিনতে হবে তা শুধুমাত্রই আমাদের এই প্রকৃতির মধ্যে দূষিত হয়ে পড়া নদ নদী গুলির রক্ষণাবেক্ষণের অভাবেই। এবার এমনই সব দাবি করলেন পশ্চিমবঙ্গের ছোট নদী পরিদর্শক দল। বীরভূমের ময়ূরাক্ষী নদীর তিলপাড়া ব্যারেজ থেকে নদী বাঁচাও কমিটির নেতৃত্বে পশ্চিমবঙ্গের ৪৫টি নদী বাঁচাও সংগঠনের সহায়তায়। শুরু হয়েছে নদী বাঁচাও সাইকেল মিছিল। এবার সেই মিছিল এসে পরিদর্শন করল পশ্চিম বর্ধমান জেলার বিভিন্ন ছোট নদী গুলি।

আর তারই মধ্যে তারা জামুড়িয়ার তফসি এলাকা দিয়ে বয়ে যাওয়া সিঙ্গার নদ দেখে একেবারে অবাক হয়ে পড়ল। পরিদর্শকরা জানালেন এতেও নদী নয় এ যেন একটা কারখানার লোহার গুড়ো বয়ে যাওয়া পলি নোংরা নালাই পরিণত হয়েছে। তাদের দাবি প্রায় ২৫ থেকে ৩০ টি আদিবাসী জনজাতির বাস রয়েছে এই নদীকে ঘিরে কিন্তু তারপরও কোন এক অজ্ঞাত কারণে এই দীর্ঘ প্রাচীন শাখা নদী কেন এতটাই অবহেলিত তা নিয়েই তারা অবাক, তারা এদিন তাদের বক্তব্যে দাবি করেন তারা নাকি শুনেছেন এই নদীর বেশ কয়েকটি অংশ কারখানা কর্তৃপক্ষ কংক্রিটের ড্রেন করে তা ঘিরে দিয়ে নিজেদের মতো করে নদীকে প্রবাহিত করেছে, যা কখনোই পরিবেশ দপ্তরের মেনে নেওয়া উচিত নয় বলেই দাবি তাদের। তবে কিভাবে এরূপ নদীকে দখল করেই কলকারখানা গড়ে উঠলো তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তারা।

জানা গেছে পুরুলিয়া বাঁকুড়া পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর হাওড়া হুগলি হয়ে তারা কলকাতায় পৌঁছবে। কমিটির সভাপতি তাপস দাস জানান নটি জেলাতেই প্রচুর ছোট বড় নদী রয়েছে যার বেশিরভাগটাই আজ বিপন্ন। সেখানেই নদী কর্মী অজিত কড়ার দাবি নদীগুলিতে অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে খনন কাজ চলছে যার জেরে বহু নদী আজ অস্তিত্ব হারাচ্ছে। বেশ কয়েকটি এলাকা এমন হয়েছে যে নদীর জলে স্রোত এসে না পৌঁছনায় মানুষজন এদের জল সরবরাহের জল পাওয়া যাচ্ছে না এর ফলে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের পাম্পগুলিও মাঝে মাঝেই বিকল্প হয়ে যাচ্ছে। আর তার সাথেই কারখানার বিভিন্ন রাসায়নিক বজ্র নদীতে ফেলায় সেই জল আর ব্যবহারযোগ্য থাকছে না যদিও তারপরও বিকল্প কোনো জলের ব্যবস্থা না থাকায় অনেকেই বাধ্য হয়ে সেই সকল জল ব্যবহার করতে হচ্ছে।

আর এর ই সাথেই আসানসোলের বেশ কয়েকটি এলাকার নদী যেমন গাড়ি নদী ইউনিয়নদী সহ বিভিন্ন নদী পথের ধারে অবৈধভাবে নির্মাণের জেরে বিপন্ন হয়েছে নদীর গতিপথ প্রতিবছর বর্ষায় বন্যার প্রকল্প পড়ছে একের পর এক এলাকা। এ সকল গুলিকেই সকলের সামনে তুলে ধরার লক্ষ্যে দিকেই চলছে তাদের এই পরিদর্শন নটি জেলায় এই ভাবেই তারা ছোট নদীগুলিকে পরিদর্শন করে তা কিরূপ অবস্থায় রয়েছে তা সকলের সামনে ও সরকারের কাছে তুলে ধরবেন আর এ সকলের জন্য প্রতিকারের দাবি করবেন বলেই জানিয়েছেন তারা। তাদের দাবি নদীকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দিতে হবে নদীকে ধূষণ মুক্ত করতে হবে নদীর পাড় দখলমুক্ত করতে হবে অবৈধভাবে নদী থেকে বালি পাথর মাটিকাটা বন্ধ করতে হবে এই দাবিতেই তারা নেমেছেন আন্দোলনে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *