২০২৬ এ ৪২ র প্রস্তুতি শুরু, শেষ হলো ১০ দিনের ৪১ তম আসানসোল বইমেলা
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ শেষ দিন রবিবার একেবারে জমজমাট। এদিন শেষ হলো যুব শিল্পী সংসদ পরিচালিত ৪১ তম আসানসোল বইমেলা। এদিন রাত সাড়ে আটটার সময় প্রথাগতভাবে বইমেলা প্রাঙ্গনে মুল মঞ্চের ঠিক পাশে বইমেলা ও যুব শিল্পী সংসদের পতাকা নামিয়ে এই বছরের মতো আসানসোল বইমেলার সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
শেষ দিন দুপুরে বইমেলা প্রাঙ্গনে বসে আঁকো প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিলো। দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়াদের একটা বিরাট অংশ এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। এদিন সন্ধ্যা সাড়ে পাঁচটার সময় পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিলো। সেই অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে ছিলেন পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসক এস পোন্নাবলম, আসানসোল পুরনিগমের ডেপুটি মেয়র অভিজিৎ ঘটক, মহুয়া ঘটক, যুব শিল্পী সংসদের ডাঃ দেবাশীষ বন্দোপাধ্যায়, সম্পাদক সৌমেন দাস সহ অন্যান্যরা। বইমেলা উপলক্ষে যেসব প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিলো, তার বিজয়ীদের এখানে পুরষ্কৃত করা হয়। এরপরে হয় সদ্য প্রয়াত শিল্পী দিলীপ দাস স্মরণে এক সঙ্গীতানুষ্ঠান।
প্রসঙ্গতঃ, গত ৯ জানুয়ারি বিকেলে ১০ দিনের ৪১ তম আসানসোল বইমেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছিলো। ১০ জানুয়ারি থেকে সর্বসাধারণের জন্য আসানসোল বইমেলার দরজা খুলে যায়। প্রথা মেনে জানুয়ারি মাসের দ্বিতীয় শুক্রবার বইমেলা শুরু হওয়ায় উদ্যোক্তারা আশা করেছিলেন, এবারের বইমেলায় সাড়া মিলবে বিগত বছরগুলোর চেয়ে বেশি। হলোও তাই। শেষ দিন রবিবার ছিলো প্রচুর বইপ্রেমীদের ভিড়। রাত আটটার সময়ও দেখা যায়, টিকিট কাউন্টারের সামনে লম্বা লাইন। বইও বেশ ভালো বিক্রি হয়েছে বলে জানিয়েছেন পাবলিশার্স ও প্রকাশকেরা।
যুব শিল্পী সংসদের সম্পাদক সৌমেন দাস এদিন বলেন, অনেক প্রতিকূলতা কাটিয়ে এবারের বইমেলা আয়োজন করেছি। আশা করছি, ২০২৬ সালে ৪২ তম আসানসোল বইমেলা নয়, আমরা ৫০ তম আসানসোল বইমেলা খুব ভালো ভাবে আয়োজন করতে পারবো।