শ্মশান ঘাটে ইলেকট্রিক চুল্লির শিলান্যাস করলেন বিধায়ক
বেঙ্গল মিরর, সার্থক কুমার দে, পাণ্ডবেশ্বর : অজয় নদীর পাড়ে পাণ্ডবেশ্বর মহাশ্মশানে বসবে ইলেকট্রিক চুল্লি । মঙ্গলবার সেই কাজের শিলান্যাস করলেন বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী । প্রকল্পটি রূপায়ণের ফলে শবদাহ করতে সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষের সুবিধা হবে বলে জানান তিনি ।
দুর্গাপুরের বীরভানপুর ও রানীগঞ্জ সংলগ্ন মেজিয়া শ্মশান ঘাটে বৈদ্যুতিক চুল্লির ব্যবস্থা রয়েছে । ফলে বৈদ্যুতিক চুল্লিতে শবদাহের জন্য জন্য এতদিন খনি অঞ্চলের মানুষজনকে যেতে হতো সেখানে । কিন্তু খনি এলাকা থেকে এই দুটি জায়গার দূরত্ব যথেষ্ট বেশি । এবার অবশ্য সেই সমস্যা থাকবে না । কারন অজয় নদীর পাড়ে পাণ্ডবেশ্বর শ্মশান ঘাটে বৈদ্যুতিক চুল্লি বসানোর প্রকল্প নিয়েছে উখরা রোটারি ক্লাব । প্রকল্পটি রূপায়ণের জন্য ২ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা অনুদান দিয়েছে “দে গ্রুপ” নামে একটি বেসরকারি সংস্থা । সিএসআর প্রকল্পে তারা এই টাকা অনুমোদন করেছে । মঙ্গলবার পাণ্ডবেশ্বর শ্মশান ঘাটে প্রকল্পটি রূপায়ণের কাজ শুরু হল । কাজের সূচনা করলেন বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী । উপস্থিত ছিলেন আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান কবি দত্ত, দে গ্রুপ সংস্থার দুই কর্ণধার বিশ্বদ্বীপ দে, সন্দীপ দে সহ অন্যরা ।
উখড়া রোটারি ক্লাবের পক্ষে বিশাললাল সিং হান্ডা জানান এখানে দুটি ইলেকট্রিক চুল্লি থাকবে । প্রকল্পের কাজ শেষ হলে সেটি পাণ্ডবেশ্বর পঞ্চায়েত সমিতির হাতে হস্তান্তর করা হবে । ২০২৬ সালে জানুয়ারির মাস থেকে এখানে শবদাহ করা যাবে বলে জানান তিনি । অন্যদিকে বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বলেন প্রকল্পটি রূপায়ণের ফলে শুধু পাণ্ডবেশ্বর নয়, সংশ্লিষ্ট এলাকার পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী বীরভূম জেলার মানুষজনও এর সুবিধা পাবে । এদিন প্রকল্পটির শিলান্যাস করার কথা ছিল রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটকের । কিন্তু তিনি অন্য কাজে ব্যস্ত থাকায় আসতে পারেননি, বলে জানানো হয় রোটারি ক্লাবের পক্ষ থেকে ।