আসানসোলে এবার ফার্নিচার ব্যবসায়ীর বাড়িতে সাতসকালে সশস্ত্র দূষ্কৃতি, তদন্তে পুলিশ
সিসিটিভিতে ধরা পড়লো দুজনের পালানোর ছবি
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ ( Asansol Latest News Updates ) দুদিন আগেই আসানসোল শহরের অন্যতম অভিজাত এলাকা আপকার গার্ডেনে রাজ্যের আইন মন্ত্রী মলয় ঘটকের বাড়িতে সন্ধ্যার মুখে হামলার ঘটনা ঘটেছিলো। সেই ঘটনার জের কাটার আগেই প্রকাশ্য দিবালোকে, বলতে গেলে শুক্রবার সাতসকালে আসানসোল শহরের আরো এক অভিজাত এলাকা হিল ভিউ নর্থে ক্ষুদিরাম পার্কের কাছে ফার্নিচার ব্যবসায়ীর বাড়িতে সশস্ত্র দূষ্কৃতি হামলার ঘটনা ঘটলো। সুবীর বসু নামের ঐ ব্যবসায়ীর বাড়িতে দুই যুবক পিস্তল নিয়ে ঢোকে। সেই সময় ঐ ব্যবসায়ীর বাড়ি চত্বরে মহঃ আলি নামে এক সাফাই কর্মী কাজ করছিলেন। তিনি দূষ্কৃতিদের আটকানোর চেষ্টা করেন। তখন তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তি বেঁধে যায়। ঐ কর্মী চিৎকার শুরু করেন। অবস্থা বেগতিক দেখে দুই দূষ্কৃতি গেট খুলে বাড়ির পাশে গলির মধ্যে ঢুকে বেপাত্তা হয়ে যায়। এরপর ব্যবসায়ীর পড়শিরা দৌড়ে আসেন। তারা আশপাশের এলাকায় খোঁজাখুঁজি করলেও কাউকে পাওয়া যায়নি। খবর পেয়ে আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ এলাকায় আসে। তবে ঐ ব্যবসায়ীর বাড়ির উল্টো দিকে লাগানো সিসি ক্যামেরায় গেট থেকে বেরিয়ে দুই যুবকের পাশের গলিতে ঢুকে পড়ার ফুটেজ ধরা পড়েছে। পুলিশ সেই সিসি টিভির ফুটেজ দেখে দুই দূষ্কৃতির খোঁজ শুরু করেছে। ঘটনার পরেই আসানসোল শহর থেকে বেরোনোর সব রাস্তায় নাকা চেকিং শুরু করে। তবে সন্ধ্যে পর্যন্ত কারোর হদিশ পাওয়া যায় নি।




তবে সকাল দশটা নাগাদ এই ঘটনা ঘটায় হিলভিউ পার্ক এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। তারা বলেন, দিনের বেলায় এইভাবে বাড়ির মধ্যে বন্দুক হাতে দূষ্কৃতিরা ঢুকে পড়ছে। তাহলে রাতে কি হবে? আমাদের নিরাপত্তা কোথায়?
জানা গেছে, এদিন সকাল দশটা নাগাদ আসানসোলের হিলভিউ পার্ক এলাকার বাসিন্দা ফার্নিচার ব্যবসায়ী সুবীর বসুর বাড়িতে গেট খুলে পিস্তল হাতে দুই যুবক ঢুকে পড়ে। একজন বাড়ির বাগান দিয়ে ঘরের ভেতরে যাওয়ার চেষ্টা করে। তখন সেখানে বাগানে মহঃ আলি নামে এক সাফাই কর্মী কাজ করছিলেন। তাদেরকে তিনি বাধা দেন। একজন তার মাথায় পিস্তল ধরে। তখন তাদের সাথে ঐ কর্মীর ধস্তাধস্তি হয়। কর্মী একইসাথে চিৎকার শুরু করেন। তখন ঐ দুই দূষ্কৃতি গেট খুলে পালিয়ে যায়।
ঐ কর্মী বলেন, দুজন এসেছিলো। তাদের মুখ কালো কাপড়ে ঢাকা ছিলো। চিনতে পারিনি। একজনের হাতে পিস্তল ছিলো। আমি বাধা দিলে, আমাকে চুপ করে থাকতে বলে। তাও আমি চিৎকার করি। তখন ওরা গেট খুলে পালিয়ে যায়।
এই প্রসঙ্গে পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, ঠিক কি ঘটনা তা খতিয়ে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলে জানার চেষ্টা করা হচ্ছে, তার সঙ্গে কারোর কোন শত্রুতা বা ঝামেলা আছে কি না।
তবে, পরপর তিনদিনের মধ্যে আসানসোল শহরে এমন ঘটনা ঘটায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।