আসানসোলে ইসিএলের আবাসন থেকে বৃদ্ধ দম্পতির দেহ উদ্ধার
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ ( Asansol News Updates ) ইসিএলের কোলিয়ারি এলাকার খনি আবাসন থেকে উদ্ধার হলো বৃদ্ধ দম্পতির দেহ। বুধবার দুপুরের এই ঘটনায় আসানসোল দক্ষিণ থানার বড়ধেমো সিপি ধাওড়া এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। মৃত দম্পতির নাম কপিলদেও মাহাতো (৮১) ও ললিতা দেবী মাহাতো (৭৯)।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কপিলদেও মাহাতো ও ললিতা দেবী মাহাতো আসানসোলের বড়ধেমো সিপি ধাওড়ায় খনি আবাসনে থাকতেন। তাদের সঙ্গে পাশে ছেলে মিথিলেশ কুমারও থাকতেন স্ত্রীকে নিয়ে। মিথিলেশ কুমার পেশায় চিকিৎসক ছিলেন। তিনি চীন থেকে ডাক্তারি পড়েছেন। তবে বর্তমানে কোন কিছু করেন না।




এদিন বেলার দিকে ছেলে বৃদ্ধ বাবা ও মাকে ঘুম থেকে তুলে চা দিতে যান। তখন তিনি দেখেন ঘরের মধ্যে বিছানায় বাবা ও মা অচৈতন্য অবস্থায় শুয়ে আছে। ডাকলেও কোন সাড়াশব্দ দিচ্ছেন না। আশপাশের লোকেরা খবর পেয়ে আসেন। দুপুর আড়াইটে নাগাদ খবর পেয়ে আসানসোল দক্ষিণ ( পিপি) থানার পুলিশ আসে। পুলিশের উপস্থিতিতে ছেলে মিথিলেশ কুমার বাবা ও মাকে আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসেন। সেখানে চিকিৎসক দুজনকে পরীক্ষা করে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
পরে মিথিলেশ কুমার বলেন, বাবা ইসিএলের অবসরপ্রাপ্ত খনি আধিকারিক ছিলেন। তার একাধিক শারীরিক অসুস্থতা ছিলো। মায়েরও ব্লাড সুপার সহ অন্যান্য শারীরিক সমস্যা ছিলো। চিকিৎসাও চলছিল। ইদানীং তারা বলতে গেলে শয্যাশায়ী ছিলেন। এদিন বেলার দিকে চা দিতে গিয়ে দেখি, তারা অচৈতন্য হয়ে আছেন। দুজনকে দুপুরের পরে আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে, চিকিৎসক বলেন মারা গেছেন।
আসানসোল পুরনিগমের ৫৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সঞ্জয় নুনিয়া বলেন, ঐ দম্পতি তার ছেলের সঙ্গেই থাকতেন। ছেলেই প্রথম দেখেন যে, তার বাবা-মা বিছানায় অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে আছেন। সঙ্গে সঙ্গে তাদেরকে আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক পরীক্ষা করে বলেন মারা গেছেন। পুলিশ আমায় বলেছে, বৃহস্পতিবার দুজনের মৃতদেহর ময়নাতদন্ত করা হবে।
এদিকে, পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, কপিলদেও মাহাতো ও ললিতা দেবী মাহাতোর মৃতদেহর বৃহস্পতিবার ময়নাতদন্ত করা হবে। দু’জনকেই এদিন দুপুরে ঘরের মধ্যে অচৈতন্য অবস্থায় পাওয়া যায়। কখন, তাদের কিভাবে
মৃত্যু হয়েছে, বা কে আগে ও কে পরে মারা গেছেন, তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না পেলে বলা যাবে না।