RANIGANJ-JAMURIA

রানীগঞ্জের আশ্চর্যজনক ঘটনা ! মহাকুম্ভের নামেই ফিরল স্মৃতি

বেঙ্গল মিরর, চরণ মুখার্জী, রানীগঞ্জ : মহা কুম্ভ যাওয়ার কথা শুনেই সমস্ত স্মৃতি ফিরে পেয়ে নিজের পরিবারের সদস্যদের খোঁজ খবর দিয়ে পরিবারের খোঁজখবর করে পরিবারের সদস্যদের কাছে ফিরে গেল ১৫ বছর ধরে স্মৃতিভ্রম হওয়া বছর পঞ্চাশের অর্জুন মাহাতো। রানীগঞ্জের রানীসায়ের এলাকায় লক্ষ্য করা গেল এই আশ্চর্যজনক ঘটনা।

ঘটনা প্রসঙ্গে জানা যায় কলকাতা মিউনিসিপাল কর্পোরেশনের পার্ক সার্কাস এলাকার সাফাই কর্মী প্রকাশ মাহাতো ওরফে অর্জুন কাজের পরিবেশ থেকেই হঠাৎ করে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে রানীসায়ের এলাকায় এক গাড়িতে করে এসে পৌঁছায়। বাড়ির সকল স্মৃতি ভুলে যাওয়ার পর রানীসায়ের মোড়েই এক হোটেলে কাজ করতে থাকে সে। গতকালই হোটেলের মালিক সুমিত গুপ্তা, পালোয়ান নাম নিয়ে থাকা ওই ব্যক্তিকে জানান মহা কুম্ভে স্নান করতে নিয়ে যাব তবে হারিয়ে যেও না যেন, এই বলেই সে তার বাড়ির ঠিকানায় তাকে নামিয়ে দেবো বলে জানালে, তার কাছে বাড়ির ঠিকানা জানতে চাওয়ার পর, সে পরপর নিজের রাজ্য ঝাড়খন্ড, জেলা কোডারমা, থানা মারকাচ্ছো আর গ্রামের নাম কদডিহি বলেই জানাতে থাকে, এরপর একে একে বাবার নাম দাদার নাম স্ত্রীর নাম ছেলের নাম মনে আসতে থাকে তার। আর এই সমস্ত কথাগুলি রেকর্ড করে লিখে রেখে রানীগঞ্জ থানার পাঞ্জাবি মোড় ফাঁড়ি র পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে মারকাচ্ছো থানায় যোগাযোগ করতেই মেলে সুফল। তার বাড়ির সদস্যদের সঙ্গে রাত্রেই কথাবার্তা বলে স্থানীয় সমাজসেবী সাধন সিংহের সহায়তায় সুমিত গুপ্তা তার বাড়ির লোকেদের ডেকে তাদের হাতে তুলে দেয় 15 বছর আগে হারিয়ে যাওয়া বাড়ির সদস্যকে।

স্ত্রী গীতা দেবী তার ভাই জেঠু মাহাতো ও আরো অন্য সকল সদস্য সকলেই বাড়ির হারিয়ে যাওয়া অর্জুনকে ফিরে পেয়ে আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়ে। বাড়ির সদস্যদের কি বলে যে নিজের স্মৃতিভ্রংশ হওয়ার কথা জানাবে তা যেন খুঁজেই পাইনা অর্জুন আর সে কাজ ফিরে পাবে কিনা সে সকল কথা না ভেবে বাড়ির সদস্যদের সঙ্গেই রওনা দেয় বাড়ি। আগামীতে রানীগঞ্জের রানীসায়ের এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গেই প্রয়াগ রাজ মহাকুম্ভে স্নান করতে যাওয়ার পরিকল্পনাও করেছেন অর্জুন বলেই জানান সকলে। মহা কুম্ভের নামেই যে সমস্ত পরিবারকে ফিরে পাবে অর্জুন সে কখনো ভাবতেও পারেনি একথা। আর রানীগঞ্জের সমাজসেবী থেকে শুরু করে আরো সকল সদস্যরাও স্মৃতি ফিরে পাওয়া অর্জুনের আগামী জীবন সুন্দর হয়ে উঠুক সেই কামনা করেই বৃহস্পতিবার বিদায় দেয় অর্জুনকে বলে আবারো মাঝে মাঝে এস আমাদের কাছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *