DURGAPUR

সিজানো পরবের পরে গ্রামে ডায়রিয়ার প্রকোপ ! ২৭জন ভর্তি হাসপাতালে

বেঙ্গল মিরর, দুর্গাপুর, চরণ মুখার্জী ও রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ* সিজানো পরবের পরেই ডায়রিয়ার প্রকোপ। প্রথমে পেটে খিঁচুনি দিয়ে ব্যথা। তারপরে হচ্ছে বমি। রাত বাড়তেই বাড়তে থাকে ডায়রিয়ায় আক্রান্তর সংখ্যা। এখনো পর্যন্ত ২৭জনকে ভর্তি করা হয়েছে দুর্গাপুর মহকুমা সহ একাধিক হাসপাতালে। অসুস্থ অবস্থায় বাড়িতে রয়েছে আরও ৭। ডায়রিয়ার এই প্রকোপের পরেই দুর্গাপুরের কাঁকসার মলানদিঘীর আকন্দারায় ছড়িয়েছে আতঙ্ক। তারপরেও সিল করা হয়নি এলাকার টিউবওয়েল। দেওয়া হয়নি পরিশ্রুত পানীয় জল বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের।


স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বুধবার দুপুর থেকেই বমি, পায়খানা শুরু হয় দুর্গাপুরের কাঁকসার মলানদিঘীর আকন্দারা গ্রামের একাধিক মানুষের। সন্ধ্যার পর থেকে বাড়তে থাকে বমি ও পায়খানা। একইসাথে বাড়তে থাকে  অসুস্থের সংখ্যা। বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত এলাকার ২৭ জনকে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতাল, দুর্গাপুরের ইএসআই হাসপাতাল ও মলানদিঘীর একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এলাকায় অসুস্থ আরো সাতজনের চিকিৎসা চলছে।
   গ্রামের বাসিন্দা লাল্টু হাজরার অভিযোগ, আমাদের বাড়িতে সবাই অসুস্থ। গোটা সিদ্ধ বা সিজানো পরব শেষ হবার পর দিন থেকেই বাড়ির লোকেদের পায়খানা ও বমি শুরু হয়। এতবার বমি ও পায়খানা হচ্ছিলো যে শেষ পর্যন্ত হাসপাতালেই ভর্তি করতে হলো। তারপরেও ট্যাঙ্কারে করে পরিশ্রুত পানীয় জল এলাকায় দেওয়া হয়নি। টিউবয়েলের জল খেতে হচ্ছে। কি কারনে এমন ঘটলো আমরা বুঝে উঠতে পারছিনা। তাই আমরা চরম আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি।

মলানদিঘী স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসক রাজীব নন্দী বলেন, এটা ডায়রিয়া। এখনো পর্যন্ত ২৭ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এলাকাতেও বেশ কয়েকজন অসুস্থ অবস্থায় রয়েছে। তাদের নজরদারির মধ্যে রাখা হয়েছে ও চিকিৎসাও চলছে। এলাকার বাসিন্দাদেরকে  জল ফুটিয়ে এবং ওআরএস খাওয়ার জন্য বলা  হয়েছে। তিনি আরো বলেন, এলাকার পুকুরে ব্লিচিং পাউডার দেওয়া হবে এবং টিউবয়েলগুলি সিল করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।


অন্যদিকে, মলানদিঘী গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য সুনিতি চট্টোপাধ্যায় বলেন, বুধবার রাত থেকেই নজরদারি রয়েছে গোটা এলাকায়। এলাকায় পরিশ্রুত পানীয় জল দেওয়ার জন্য জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরকে বলা হয়েছে। চিকিৎসকরা এখন ঐ গ্রামে বিশেষ নজরদারি চালাচ্ছেন। কেন ডায়রিয়া হলো তা স্বাস্থ্য দপ্তর দেখছে।
মলানদিঘি গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান বিশ্বরুপ চট্টোপাধ্যায় বলেন, গ্রামে মেডিক্যাল টিম রয়েছে। সবাইকে জল ফুটিয়ে খাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আপাততঃ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।  টিউবয়েল সিল করা হবে কিনা তা সিদ্ধান্ত নেবেন ব্লক প্রশাসনিক আধিকারিকরা। গ্রামে দুই ট্যাঙ্কার পরিশ্রুত পানীয় জল পাঠানো হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *