ASANSOL

আসানসোল প্রগতি ও বিএন ঘাঁটি ” র যৌথ উদ্যোগে রক্তদান শিবিরের আয়োজন

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দ্যোপাধ্যায়ঃ আসানসোল জেলা হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্তের অভাবের কথা মাথায় রেখে বৃহস্পতিবার আসানসোলের রবীন্দ্র ভবন প্রাঙ্গণে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ” আসানসোল প্রগতি ” ও শহরের অন্যতম নামী ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান ” বি এন ঘাঁটি” র যৌথ উদ্যোগে বার্ণপুর ভলেন্ট্রি ব্লাড ডোনার্স এর সহযোগিতায় একটি রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়। এই রক্তদান শিবিরে আসানসোল প্রগতির সকল সদস্যর পাশাপাশি ঘাঁটি পরিবারের সদস্য সৌমিত্র ঘাঁটি ও সুমন্ত ঘাঁটি উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়াও আসানসোল পুরনিগমের চেয়ারম্যান অমরনাথ চট্টোপাধ্যায় , রানিগঞ্জের বিধায়ক তাপস বন্দোপাধ্যায় , আসানসোল রামকৃষ্ণ মিশনের সেক্রেটারি স্বামী সৌম্যমানন্দজি মহারাজ, মেয়র পারিষদ গুরুদাস ওরফে রকেট চট্টোপাধ্যায়, রক্তদান আন্দোলনের নেতা প্রবীর ধর সহ সমাজের অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিনের এই কর্মসূচি প্রসঙ্গে সাংবাদিকদেরকে সংগঠনের সদস্য পিন্টু ভট্টাচার্য বলেন, আসানসোল প্রগতি প্রতি বছর রক্তদান শিবিরের আয়োজন করে আসছে। গত বছরও এমন একটি রক্তদান শিবিরে ১০৪ ইউনিট রক্ত সংগ্রহ করা হয়েছিল। এবারও বিপুল সংখ্যায় রক্তদাতারা এসেছেন।

তিনি আরো বলেন, আসানসোল প্রগতি গত ১১ বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে সামাজিক কর্মসূচির আয়োজন করে আসছে। এটি আসানসোল প্রগতির ১২তম রক্তদান শিবির। এদিন প্রথমে প্রদীপ জ্বালিয়ে ও পরে স্বামী বিবেকানন্দ, নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু এবং ভগিনী নিবেদিতার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের মাধ্যমে রক্তদান শিবিরের সূচনা করা হয়েছে। এরপর জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। বার্নপুর ভলেন্টিয়ার ব্লাড ডোনার্স এ্যাসোসিয়েশনের প্রবীর ধর এদিনের রক্তদান শিবিরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি বলেন, আসানসোল প্রগতি এই ধরণের অনেক সামাজিক কাজ করে।


আসানসোলে প্রগতির প্রশংসা করতে গিয়ে রানিগঞ্জের বিধায়ক তাপস বন্দোপাধ্যায় বলেন, এই সংগঠনের সদস্যরা কেবল আনুষ্ঠানিকতার জন্য সামাজিক কাজ করেন না, তারা সমাজের উন্নতির আবেগ নিয়ে কাজ করেন। কেবল রক্তদান শিবিরই নয়, শীতকালে শীতবস্ত্র বিতরণ, আর্থিক সমস্যায় পড়া পড়ুয়াদেরকে সাহায্য করার কাজ আসানসোল প্রগতি করে থাকে। যার মাধ্যমে সমাজকে আরও ভালো জায়গায় নিয়ে যাওয়া যায়। তিনি বলেন, যারা এই সংগঠনে আছেন, তারা নিজেদের প্রচারের জন্য যোগদান করেননি। তারা সমাজে অবদান রাখার জন্য যোগদান করেছেন। তারা চান যে সমাজ থেকে এত কিছু পেয়েছেন, এখন তাদের দায়িত্ব সমাজকে কিছু ফিরিয়ে দেওয়া। এদিনের শিবিরে ১১৩ জন রক্তদান করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *