আসানসোল জেলা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চালু ” ব্যথা নিরাময় কেন্দ্র
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ ( Asansol Latest News Updates ) আসানসোল জেলা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চালু হলো ” পেইন ম্যানেজমেন্ট ইউনিট বা ব্যথা নিরাময় কেন্দ্র “। শুক্রবার এক অনুষ্ঠানে ফিতে কেটে এই ইউনিটের উদ্বোধন করেন পশ্চিম বর্ধমান জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের ডেপুটি সিএমওএইচ ( ৪) ডাঃ অনন্যা মুখোপাধ্যায় ও জেলা হাসপাতালের সুপার ডাঃ নিখিল চন্দ্র দাস। এদিনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ছিলেন ডাঃ অমিত মুখোপাধ্যায়, ডাঃ এসকে বসু, ডাঃ কৌশিক পাল, সহকারী সুপার ভাস্কর হাজরা সহ জেলা হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও কর্মীরা।




প্রসঙ্গতঃ, শুধু আসানসোল জেলা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নয় রাজ্যের আরো ছয়টি হাসপাতালে এই পেইন ম্যানেজমেন্ট ইউনিট স্বাস্থ্য চালু করতে চলেছে। ঐ ছয়টি জায়গা হলো হুগলি, মালদহের চাঁচল, গার্ডেনরিচ, সিউড়ি, খড়গপুর ও এম আর বাঙ্গুর।
এই প্রসঙ্গে ডাঃ নিখিল চন্দ্র দাস বলেন, এদিন জেলা হাসপাতালে ব্যথা নিরাময় ইউনিটের উদ্বোধন করা হয়েছে। এখন বলতে গেলে সকলেই কোন না কোনভাবে পেইন বা নিয়ে কষ্ট পাচ্ছেন। তাই এই ধরনের রোগীদের উপশম দেওয়া এবং বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে ব্যথা উপশম করার জন্য এই ইউনিটটি শুরু করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, এই ইউনিটে কেবল ব্যথা নিরাময়ের সাথে সম্পর্কিত চিকিৎসকরাই নন, ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ এবং মনোবিজ্ঞানী সহ বিভিন্ন বিশেষজ্ঞও উপস্থিত থাকবেন। আপাততঃ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল ভবনের প্রথম তলায় এই ইউনিটটি সপ্তাহে একদিন শুক্রবার চলবে।
ডেপুটি সিএমওএইচ (৪) ডাঃ অনন্যা মুখোপাধ্যায় বলেন যে, এই ইউনিটে ব্যথার কারণ ও তার সমাধান নিয়ে চিকিৎসা করা ও পরামর্শ দেওয়া হবে। ব্যথা কেবল মাত্র শারীরিক কারণেই নয়, মানসিক কারণেও হয়। তাই, ব্যথা নিরাময় করার জন্য বিশেষজ্ঞ ডাক্তার সহ বিভিন্ন বিভাগের বিশেষজ্ঞ থাকবেন।
অন্যদিকে, এই ইউনিটের ইনচার্জ মনোরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডাঃ কৌশিক পাল বলেন, আজকাল খুব কমই এমন মানুষ আছে যার কোনও ধরণের ব্যথা হয় না। তা সে শারীরিক হোক বা মানসিক হোক বা অন্য কোনও কারণে হোক না কেন। এখানে প্রতিটি কারণে ব্যথার সমাধান করা হবে। এর জন্য যথাযথ চিকিৎসা দেওয়া হবে। তিনি আরো বলেন, এর জন্য জেলা হাসপাতালে একটি টিম করা হয়েছে। যার মধ্যে থাকবেন ফিজিওথেরাপিস্ট, মনোবিজ্ঞানী, জেনারেল ফিজিশিয়ান এবং বিশেষজ্ঞ কর্মীরা।
জেলা হাসপাতালের ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ডাঃ অমিত মুখোপাধ্যায় বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি যে সামান্য ব্যথা হলেই মানুষ ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়াই ব্যথানাশক ওষুধ খান। যা একেবারেই ঠিক নয়। একজন মানুষের শারীরিক অবস্থার ক্ষেত্রে বিপজ্জনকও বটে। চিকিৎসকের কিডনি এবং শরীরের অন্যান্য অংশের উপর খারাপ প্রভাব পড়ে। তাই যে কোন ব্যথা হলেই, তা চিকিৎসা করা দরকার। এরজন্যই এই সেন্টার।