চিকিৎসাধীন নির্যাতিতার পরিবারের সাথে দেখা করতে গিয়ে বাধার মুখে বিজেপি বিধায়ক, কর্মীদের সাথে বচসা উত্তেজনা
বেঙ্গল মিরর, চরণ মুখার্জী, দুর্গাপুর : ইএসআই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নির্যাতিতা যুবতীর পরিবারের সাথে দেখা করতে গিয়ে বাধার মুখে বিজেপি বিধায়ক। ইএসআই কর্মীদের সাথে বচসা থেকে চরম উত্তেজনা। হাসপাতালের নিয়ম মেনে আটকানো হয়েছে পাল্টা দাবি হাসপাতালের কর্মীর। পরিস্থিতি সামাল দিতে পৌঁছায় নিউ টাউনশিপ থানার পুলিশ।




জানা গেছে, দুর্গাপুর থানা এলাকার এক যুবতী দীর্ঘদিন ধরে আসানসোলেই থাকতো। সেখান থেকে চলতি মাসের ১৩তারিখ মামাতো বোনের সাথে এবং চার বন্ধুদের সাথে বাঁকুড়ার শালতোড়ার বিহারীনাথ পাহাড়ে ঘুরতে গিয়েছিল। সেখানেই সেই বন্ধুরা যুবতীকে নির্যাতন করে বলে অভিযোগ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তারপর থেকেই ওই যুবতী ভর্তি রয়েছে দুর্গাপুরের বিধাননগরের ইএসআই হাসপাতালে।
বিজেপি বিধায়ক লক্ষণ ঘড়ুইয়ের অভিযোগ,”আমার বিধানসভার এক যুবতীকে নিয়ে গিয়ে চারজন যুবক মিলে ধর্ষণ করেছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় দুর্গাপুরের ইএসআই হাসপাতালে সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আমি খবর পেয়ে দেখা করতে এসেছি। সুপার বলছেন আসানসোলে আছি। এখানে কর্মীরা বলছে দেখা করা যাবে না।কেন? সারা বাংলায় যা চলছে এখানেও তা চলছে। মহিলা মুখ্যমন্ত্রী বলছেন যারা এসব ঘটনা ঘটাচ্ছে তাদের ফাঁসি দেওয়া হবে।
আমি মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন করছি, এই ঘটনার সাথে জড়িত যারা তাদের ফাঁসি দেওয়া হবে তো? আমি আধঘন্টা ধরে দাঁড়িয়ে আছি আমাকে নির্যাতিতার পরিবারের সাথে দেখা করতে দেওয়া হয়নি। তৃণমূলের দালালরা নিরাপত্তা রক্ষীরা আমাকে বাধা দিয়েছে। এই ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। আমরা এর শেষ দেখে ছাড়বো। যদি ব্যবস্থা নেওয়া না হয় তাহলে দুর্গাপুর অবরুদ্ধ করে দেবো।
দুর্গাপুর ইএসআই হাসপাতালের কর্মী অনন্তরূপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,”নিয়ম ভেঙ্গে অনেকজন মিলে একসাথে হাসপাতালের ভেতর ঢোকার চেষ্টা করেছিল। সেই জন্যই নিরাপত্তা রক্ষীরা তাদের বাধা দিয়েছে। নির্দিষ্ট সময় ছাড়া ঢুকতে দেওয়া যাবে না।
পশ্চিম বর্ধমান জেলার তৃণমূলের জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী জানান হাসপাতালে অযথা রাজনীতি করতে বিজেপি।
যদিও হাসপাতাল সুপার দীপাঞ্জন বক্সী বলেন, পুলিশের মামলা পুলিশ কিংবা কোর্টের অনুমতি ছাড়া কাউকে দেখা করতে দেয়া যাবে না। দীর্ঘক্ষন হাসপাতাল সুপারের সামনে বসে পড়ে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা।