ASANSOL

মাধ্যমিক পরীক্ষার শেষ দিনে পশ্চিম বর্ধমানের ১১ টি স্কুল পরিদর্শনে পর্ষদ সভাপতি

জেলায় মেয়েদের অনুপস্থিতির সংখ্যা বেশি, পর্যালোচনা করার আশ্বাস

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল ও দূর্গাপুর, রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ নির্বিঘ্নে ও শান্তিপূর্ণভাবে বৃহস্পতিবার ২০২৫ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হল। এদিন ছিল ভৌত বিজ্ঞান পরীক্ষা। এদিন মেন সাবজেক্ট বা প্রধান বিষয়গুলির লিখিত পরীক্ষা শেষ হলো। শনিবার হবে এ্যাডিশনাল বা অতিরিক্ত বিষয়ের পরীক্ষা। এদিন পশ্চিম বর্ধমান জেলায় শেষ দিনের গোটা পরীক্ষা প্রক্রিয়া খতিয়ে দেখতে আসেন মধ্য শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি ডঃ রামানুজ গাঙ্গুলি। তিনি এদিন জেলায় সবমিলিয়ে ১১ টি স্কুল পরিদর্শন করেন। স্কুল কতৃপক্ষের পাশাপাশি তিনি পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সঙ্গে পরীক্ষা নিয়ে কথা বলেন। তার সঙ্গে ছিলেন। জেলার আহ্বায়ক রাজীব মুখোপাধ্যায় সহ অন্যান্যরা।


আগের দিনগুলোর মতো বৃহস্পতিবারের পরীক্ষায় পশ্চিম বর্ধমান জেলায় ৫১৭ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিলেন। তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য ভাবে মেয়েদের অনুপস্থিতির হার অনেকটাই বেশি। এদিন ৪০৬ মেয়ে পরীক্ষাই দিতে আসেনি। সেখানে ছেলেদের সংখ্যা মাত্র ১১১। পশ্চিম বর্ধমানে মেয়েদের পরীক্ষা দেওয়ার কথা ১৭ হাজার, ৩৭৬ জনের। সেখানে এদিন পরীক্ষা দিয়েছে ১৬ হাজার ৯৭০ জন। অন্যদিকে, ১৩ হাজার ৬৩৬ জন ছেলে পরীক্ষার্থীর মধ্যে এদিন পরীক্ষা দিয়েছে ১৩ হাজার ৫২৫ জন। আসানসোল মহকুমায় এদিন ৩২৭ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দেয়নি। দুর্গাপুরে সেই সংখ্যা হলো ১৯০ জন। এদিন পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোল মহকুমার দুই পরীক্ষার্থী শারীরিক অসুস্থতার কারণে আসানসোল জেলা হাসপাতালে পরীক্ষা দিয়েছে।


এদিন সকালে প্রথম পর্যায়ে আসানসোলে স্কুল পরিদর্শনের পরে পর্ষদ সভাপতি বলেন, এবারে ছেলেদের তুলনায় মেয়ে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা অনেকটাই বেশি। এর কারণ হলো রাজ্য সরকারের তরফে মেয়েদের জন্য অনেক সামাজিক প্রকল্প করা হয়েছে। তাতে মেয়েরা স্কুলে আসছে। মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছে। যা একটা ভালো দিক। কিন্তু পশ্চিম বর্ধমান জেলায় এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রথম দিন থেকেই মেয়ে পরীক্ষার্থীর অনুপস্থিতির সংখ্যা ছেলেদের তুলনায় অনেকটাই বেশি। এই প্রসঙ্গে পর্ষদ সভাপতি বলেন, এই ব্যাপারে আমার কাছে সুনির্দিষ্ট ভাবে কোন তথ্য নেই। পরীক্ষা শেষ হলে সব জেলা থেকেই সব তথ্য নিয়ে পর্যালোচনা করা হবে। তখন এই বিষয়টি অবশ্যই দেখবো।


অন্যদিকে, এদিন দুর্গাপুরে নেপালি পাড়া হিন্দি হাইস্কুলে পরীক্ষা শেষে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস দেখা যায়। কেউ মোবাইল ফোনে সেলফি তোলে বন্ধুদের। কেউ কেউ আবির খেলে উচ্ছাসে মেতে উঠে নিজেদের মধ্যে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা।
দুর্গাপুরে পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গাঙ্গুলি বলেন, পশ্চিম বর্ধমান জেলায় সব জায়গায় ব্যবস্থাপনা ভালো ছিলো। যেখানে ১০ লক্ষ পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিচ্ছে, সেখানে আমরা আগে থেকে প্রস্তুত করেছি। আমাদের শিক্ষক থেকে জেলা প্রশাসন, রাজ্য প্রশাসন, শিক্ষা মন্ত্রী প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি ও সর্বোপরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে কাজের পরামর্শ দিয়েছেন,
সেভাবে পর্ষদ কাজ করেছে। আমরা সবাইকে উৎসাহ দিয়েছি, তাদের কাজ করার জন্য।

তিনি আরো বলেন, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি হিসেবে আমার যা করণীয় তা করেছি। সিস্টেমটা যতটা উৎকর্ষ্যে নিয়ে যাওয়া যায় সেটাই করা হয়েছে। প্রতি বছরের মতো আমার কাছে স্কুল ভিজিট গুরুত্বপূর্ণ থাকে। এখান থেকেই ইমপ্রুভমেন্ট বা আরো ভালো করার একটা জায়গা তৈরি হয়। এটা থেকেই আমরা পরবর্তীকালে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে পারি। যার ভিত্তিতে পরীক্ষা আরো ভালো হওয়ার ব্যবস্থা করা যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *