তৃণমূলের জেলা সভাপতির মৃত বাবার নাম ভোটার তালিকায়!
প্রকাশ্যে এনে শাসক দলকে আক্রমণ বিজেপির রাজ্য নেতার
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল,রাজা বন্দ্যোপাধ্যায়ঃ রাজ্যের মূখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেসের সুপ্রীমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি এক কর্মীসভা থেকে নেতা ও কর্মীদেরকে ভুয়ো ভোটার চিহ্নিত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন দিল্লি, হরিয়ানায় ভুয়ো ভোটারের জন্য বিজেপি জয়লাভ করেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই নির্দেশ পাওয়ার পর সারা রাজ্যে ভুয়ো ভোটার ধরতে কোমড় কষে মাঠে নেমেছেন শাসক দলের নেতা ও কর্মীরা।




পশ্চিম বর্ধমান জেলাতেও জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী সহ একাধিক বিধায়ক ও নেতারা ভুয়ো ভোটার খুঁজতে পাড়ায় পাড়ায় ঘুরছেন।
তারই মধ্যে রবিবার বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায় পান্ডবেশ্বর বিধানসভার ভোটার তালিকার একটি পার্ট জনসমক্ষে এনে রাজ্যের শাসক দল তৃনমুল কংগ্রেসের নেতৃত্বর অস্বস্তি বাড়ালেন। তিনি বলেন, কিছুদিন আগে পান্ডবেশ্বর বিধানসভার বিধায়ক তথা পশ্চিম বর্ধমান জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি নরেন্দ্র নাথ চক্রবর্তী কর্মীসভায় কর্মীদের বলেছিলেন ভূয়ো ভোটার ধরতে এবং তাদের হাত পা ভেঙে দিতে। অথচ তার বাবা স্বর্গীয় অরিন্দম চক্রবর্তী দু’বছর আগে মারা গেলেও ভোটার তালিকায় তার নাম ২৭৫ পান্ডবেশ্বর বিধানসভার ৮৭ নং পার্টের ১১৭ নং বর্তমান। ঐ পার্টের ১১৮ নম্বরে রয়েছে বিধায়ক তথা জেলা সভাপতির নাম। কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায় বলেন, এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি বলবেন? পশ্চিম বর্ধমান জেলার তৃনমুল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি কার হাতপা ভাঙবেন? বিজেপি রাজ্য নেতার এই দাবি নিয়ে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে।
বিজেপি নেতার দাবি ও অভিযোগ নিয়ে নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, তার কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
তবে এই প্রসঙ্গে তৃনমুল কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক ভি শিবদাসন ওরফে দাসু বলেন, আমি যতদূর জানি জেলা সভাপতি ইতিমধ্যেই তার স্বর্গীয় বাবার নাম ভোটার তালিকা থেকে কাটার জন্য নিয়ম মেনে আবেদন করেছেন। সেই কাজ তো নির্বাচন কমিশন করবে। আশা করি, এরপরে সংশোধনী তালিকায় তা করা হবে। তার দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির সুবিধা করে দিতে নির্বাচন কমিশনের কারসাজি ধরে ফেলে, তা জনসমক্ষে এনেছেন। তাই বিজেপি নেতারা কি করবেন বুঝে উঠতে পারছেন না।